নরক – এক আশ্চর্য বাসর যেখানে বঁধুয়ার উষ্ণ পরশ না থাকলেও ভীষণ আঁচড়ে আঁকা নকশীকাঁথায় জড়ানো থাকে জীবনের শরীর। ধরে নিই কবি এখানে নিজেই নরক কিংবা কয়েদি। তার চোখে এই জন্ম একটি বিষন্নতার রূপসী রুমাল। এখানে পরস্ত্রী, সঙ্গম, ক্ষুধা, বৈষম্য, দাসত্ব, কাঁটাতার, টর্চারসেল, বনসাইতন্ত্র সহ যাবতীয় সকল ঝঞ্ঝা গুলো একটি সুশ্রী কাঠামোয় বদ্ধ হয় প্রস্তুত হচ্ছে প্রভাতফেরির য্যানো এক অপ্সরা কারো অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে যার চোখের নিচে বিস্তীর্ণ ডার্ক সার্কেল। কবি নিজেই এখানে প্রবক্তা এবং গৃহীতা। তার দৃষ্টিতে আগুন,ফাগুনের ভুল অংক,বিচ্ছিন্ন সমীকরণ,উচ্ছিষ্টের মতো রাজপথ। একটি নির্ঘাত বিপ্লব ধূমকেতুর মতো যাত্রায় অনিবার্য হয়ে উঠছে। আবার চুনকাম খসে যাওয়া প্রজন্ম জমা হচ্ছে চারমিনারের ফিল্টারে কবিতায় মুক্তির সনদ পড়তে পড়তে হঠাৎ হঠাৎ বজ্রের আঘাত – ভগ্ন মিনারে অসুস্থ স্লোগান, কাঁপছে আয়ু বিস্ময়ে (নিজ পায়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে জীবন!) প্রশ্ন হলো নরক কয়টি এক নাকি একাধিক? যেহেতু নরক হতে ফিরে আসছে কালশিটে চোখ সেহেতু ধরে নেয়াই যায় যে, এই যাত্রা নরক হতে প্রস্থানের,নরকে আর্বিভাবের।ফিরে আসা এবং ফিরে চলার এই যাত্রায় কবি এক মূর্তিমান বিভ্রান্তি যার কলম প্রসব বেদনায় কাঁপতে কাঁপতে জন্ম লিখে নিজেস্ব সাইরেনে —" এ জীবন কুকুরেও খায় না”। হিমাদ্রী চৌধুরী ঢাকা, বাংলাদেশ।