সুসজ্জিত সেনাবাহিনী থেকেও কোনো কোনো কবিতা বা গানের বিস্ফোরণ ক্ষমতা বেশি হতে পারে। শিল্প, সাহিত্য বা কবিতা আসলে কী করে? আমরা যা দেখি, যা কিছু অনুভব করি তার বদল ঘটে যায় শিল্পের ছোঁয়ায়। একটা প্রকৃত কবিতা পড়ার পর তা থেকে চোখ ওঠানো মাত্র চারপাশ বদলাতে শুরু করে। শিল্প একটা ব্যাবহারিক বিষয় যা দুনিয়াকে আরো অর্থময় করে তোলে। শিল্প, সাহিত্য, কবিতা অনুভব করতে পারা মানুষের অনুভূতি ব্যাপ্ত অন্যদের চেয়ে। এ এমন এক শক্তি যার শক্তিতে গান গাইতে গাইতে ফাঁসির মঞ্চে চলে যেতে পারে কেউ কেউ। মাথার ওপর ঢাউস একটা চাঁদ উঠলে, আমাদের কাজলা দিদিকে মনে পড়ে এই নগরীতে। ফুল না ফুটলেও ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসে শব্দের বাহনে। নির্ঘুম বিষণ্ন রাতে সঙ্গীত অনেককে বাঁচিয়ে দেয় পরের দিনের সূর্য দেখার জন্য। অথবা সুস্থ মগজে মনের অতলান্তে ডুব দিয়ে দেখা যায় অস্তিত্বের বিমূর্তায়ন। যারা শিল্পবর্তী, যারা এর বহিরাঙ্গের রূপের পর অন্তর্গত দশাকে খুলে দেখতে চায়, তাদের উপলব্ধিকে একটু উসকে দেবার সহায়পুস্তক কবিতাকলা ভবন। হাজার দুয়ারী কলা ভবনের ঝনঝন করে বাজতে থাকা বিরাট এক চাবির গোছা। এ মরজগতকে নতুন ভাবে দেখার প্রেরণা, ইঙ্গিত ও উসকানি এই শিল্প ও সাহিত্যবিষয়ক ব্যাবহারিক পুস্তকটি।