রহস্যময় আদম পাহাড়। একটি নিরেট ভ্রমণকাহিনি। শ্রীলঙ্কায় একটি পাহাড় রয়েছে, যার চুড়া অ্যাডামস পিক বা আদম চুড়া নামে খ্যাত। বলা হয়ে থাকে, সৃষ্টির প্রথম পুরুষ। আদম (আ.)-কে ওই পাহাড়ের চূড়ায় নামানাে হয়েছিলাে। ওখানে নাকি আদম (আ.) এর পায়ের ছাপ রয়েছে। যদিও খ্রিষ্টানরা মনে করেন ওটা আসলে অ্যাডাম বা সেন্ট থমাসের পায়ের ছাপ। বৌদ্ধরা বলেন, ওখানে নামানাে হয়েছিলাে গৌতম বুদ্ধকে। আর সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা কেউ মনে করেন ওটা আসলে শিবের পায়ের ছাপ, কারাে ধারণা। ওখানে নামানাে হয়েছিলাে হনুমান দেবকে। যে কারণে সব ধর্মের মানুষের জন্য অ্যাডামস পিক একটি পবিত্র জায়গা। তবে যারা কোনাে ধর্মই বিশ্বাস করেন না, তাদের কাছেও অ্যাডামস পিক একটি আকর্ষণীয় টুরিস্ট স্পট। এই পাহাড় নিয়ে সৃষ্ট নানারকমের মিথ তাদের টানে। শ্রীলঙ্কার ওই সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় নামার পর আদম (আ.) নাকি এক হাজার বছর ডান পায়ে ভর দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। গন্ধম খেয়ে যে অপরাধ করেছিলেন তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে খ্রিষ্টান ধর্মমতে, অ্যাডাম প্রায়শ্চিত্ত করেন এক বছর। কথা হলাে শ্রীলঙ্কা দ্বীপদেশ এর চারপাশে সমুদ্র। তাহলে সেই প্রাচীনকালে আদম বা অ্যাডাম কীভাবে শ্রীলঙ্কার বাইরে গেলেন? অ্যাডাম নাকি সমুদ্রের পানিতে পাথর ফেলে ফেলে একটি ব্রিজ তৈরি করেছিলেন; যার নাম অ্যাডামস ব্রিজ বা আদম সেতু। তবে কেউ কেউ একে রাম সেতুও বলে থাকেন। সিলিকা পাথরের ওই অদ্ভুত সেতুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরাম থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার উপকূল পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য ৩০ মাইল বা ৪৮ কিলােমিটার। ওই ব্রিজ নিয়ে চলেছে। বিস্তর গবেষণা। উল্লিখিত বিষয়দুটির পাশাপাশি বইটিতে স্থান পেয়েছে রাক্ষসরাজ রাবণের দেশ শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত গল ফোর্ট এবং উপকথায় সমৃদ্ধ অপরূপ সুন্দর উনাবাতুনা সমুদ্রসৈকত প্রসঙ্গ।