মানুষের মন রহস্যময় ঘণ্টায় ঘণ্টায় রং বদলায়। সে রঙে কখন যে কোনটা ঠাই পায়, বলা মুশকিল। সকালে সাদা ভালাে লাগে তাে বিকেলে নীল। দুপুরে কটকটে লাল তাে রাতে হলুদ। কিশাের বয়সে একজনকে ভালাে লাগে। তরুণ বয়সে আরেকজনকে দীর্ঘদিনের পছন্দের মানুষটিও অনেক সময় অসহনীয় হয়ে পড়ে। আবার অন্য কাউকে পছন্দ হয়ে পড়ে কোনাে কারণ ছাড়াই। কেউ কেউ বর্তমান সঙ্গীর সাথে অন্য আরেকজনের তুলনা করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলে সব। যেমন এ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মিলা। বলা চলে হঠাৎই প্রেমে পড়ে রাকিবের। তারপর দ্রুত তারা দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়েও করে ফেলে। বাগেরহাটের মেয়ে মিলা কেবল ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তি হয়েছে। বিয়ের সামান্য দিন পরেই রাকিবের সাথে মিলার বিবিধ বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। একবার বাড়ি থেকে ফেরার সময় ফেরিতে মিলার সাথে পরিচয় হয় আনন্দের। ফেরিতে ঘণ্টাদুয়েক সময় এক সাথে কাটানাে। তারপর দুজনই ফিরে আসে ঢাকায়। এরপর মাঝে-মধ্যে ওদের কথা হয় দেখাও হয়। ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে মিলার জীবনপ্রবাহ। সংসারের টুকিটাকি সমস্যা কিংবা আনন্দের প্রতি অন্যরকম এক আকর্ষণের কারণে মিলার জীবনটা একসময় এলােমেলাে হয়ে পড়ে। সেটারই চুড়ান্ত পরিণতি- মিলার আত্মহত্যা! জীবনের এসব জটিল হিসাব-নিকাশ ঠিক বুঝতে পারে না আনন্দ। তার প্রতি মিলার অন্যরকম এক টান বা নির্ভরতাকে আমলে নেয় না। একদিন খুব ভােরে জানতে পারে, মিলা আত্মহত্যা করেছে। তারপর আনন্দের হুশ হয়। বেশ বুঝতে পারে- তার প্রতি মিলার নির্ভরতার আড়ালে ছিল ভালােলাগা আর ভালােবাসা। তার কাছ থেকে প্রশ্রয় না পেয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দেয় মিলা। আনন্দের কেবলি মনে হয়, মিলার মৃত্যুর জন্য সে-ই দায়ী। মিলা আত্মহত্যা করেনি আসলে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এবং সে হত্যার নেপথ্য নায়ক আনন্দ নিজে...
দেশের সব কটি জেলা ঘােরা মানুষ। বিদেশ বলতে কেবল ভারত, নেপাল আর মালয়েশিয়া। সারা বিশ্বটা ঘুরতে যাবার বড় খায়েশ, হাতে বেশ কিছু টাকা এলেই বেরিয়ে পড়বেন ব্যাগ আর পাসপাের্ট নিয়ে। ভালোবাসেন একমাত্র বউ আর ছেলে দুটিকে। পরিবারের বাইরে খুব প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন, তিনি হিমু আর মিসির আলির স্রষ্টা। তিন বছর এগারাে মাস হলুদের উপরেই থাকেন। বাকি এক মাস হলুদ এক্কেবারেই না। কারণ তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক! খাবার ভালােবাসেন ইলিশ মাছের ডিম ভাজা আর গরুর ভুনা গােশত দিয়ে পরােটা। যে কোনাে ছােট মাছ ভীষণ প্রিয়। ১৬ সেপ্টেম্বর জন্মের কারণেই কন্যা রাশির জাতক। সাংবাদিকতা পেশা। আছেন এখন রাইজিংবিডিতে।