“বাংলার ইতিহাস : ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ইতিহাসের পাঠক মাত্রই জানেন যে, প্রাচীন আমলের শাসনপদ্ধতি অনেকাংশই বলবৎ থাকে সুলতানি আমলে, আবার সুলতানি আমলের শাসন কাঠামাের অনেক দিক টিকে থাকে মুঘল আমলে। শাসন পদ্ধতির এ হেন ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। ব্রিটিশ আমলে এসে। পূর্বেকার শাসন-ব্যবস্থা সওদাগর কোম্পানি সরকারের নিকট অগ্রহণযােগ্য। ছিল ঔপনিবেশিক কারণেই। অতএব প্রায় সম্পূর্ণ নতুন ধারায় ও নতুনভাবে প্রণীত হলাে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামাে। ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামাে নিয়ে প্রামাণিক গ্রন্থের চরম অভাববােধ থেকে বর্তমান গ্রন্থের সূত্রপাত। লেখক এই গ্রন্থে ঔপনিবেশিক আমলে যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তন সূচিত হয়, অর্থাৎ কীভাবে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, কীভাবে শাসনপদ্ধতি বিকাশ লাভ করে এবং কীভাবে ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামাে আমাদের শাসন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে তা আঠারােটি অধ্যায়ে বিন্যাস করে আলােচনা করেছেন। অধ্যায় গুলােতে রয়েছে -পলাশী যুদ্ধ ও তার পটভূমি, মীর জাফর, মীর কাশিম ও কোম্পানি বাহাদুর, এ্যাংলাে-মুঘল যৌথ শাসন, ভূমি প্রশাসন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্দেশ্য ও ফলাফল, সূর্যাস্ত আইনের অপারেশন, কর্ণওয়ালিস কোড, ব্রিটিশ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিকাশধারা, বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন, পুলিশ। প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, কোম্পানি শাসনে। বাঙালির প্রতিক্রিয়া, ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামােয় কৃষক, ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্র এবং প্রেসিডেন্সি থেকে প্রদেশ। এই গ্রন্থ ইতিহাসের উচ্চশিক্ষার্থী, গবেষক এবং ইতিহাস বিষয়ে অনুসন্ধিৎসু পাঠকের নিকট ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।