মুম্বাই শহরে নৃশংসভাবে একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্র্যত্যেককে খুন করে সুউচ্চ স্থানে ঘুড়ির মতো আকার দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে যাচ্ছে খুনি। প্রত্যেকের লাশের সাথে কাগজে লেখা চিরকুটে মিলছে একটি ধাঁধাঁ, যেখানে রয়েছে পরবর্তী খুনের পূর্বাভাস। এটা কি তবে কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ? কিন্তু একা এতো উঁচুতে খুনি কিভাবে তুলল ওর শিকারকে? এতো পরিশ্রম করে এভাবে মেরে ফেলে রেখে যাবার উদ্দেশ্যই বা কী? তদন্তে নেমেছে দুঁদে ডিটেকটিভ চন্দ্রকান্ত রাঠোর। সূত্র ধরে একের পর এক ধাঁধাঁ সমাধা করে খুনিকে খুঁজে বের করতে হবে তার। পরের খুন হয়ে যাবার আগেই ধরে ফেলতে হবে পাগল খুনিটাকে। কিন্তু এবারের খুনি সত্যিই তুখোড় মেধা সম্পন্ন। ঘাম ছুটে যাচ্ছে রাঠোরের। যার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ব্যর্থতা বলতে কোন শব্দ নেই সেই রাঠোর কি তবে এবার হেরে যেতে চলেছে? চলছে খুনি ও ডিটেকটিভের মনস্তাত্ত্বিক ইঁদুর বিড়াল খেলা। গুরুতর সমস্যা উদ্ভুত হয়েছে আরো। প্রায় একই ধরণের আরেকটি খুন হয়েছে শহরে। এক কেস সমাধান করতে গিয়ে আরেকটি কেসের সাথে যোগসূত্র মিলে যাচ্ছে। কিন্তু এ কী করে সম্ভব? দারুণ এক টানাপোড়েনে আটকে রয়েছে ডিটেকটিভ রাঠোর। সে কি পারবে এর জট ছাড়াতে? প্রখ্যাত গল্পকার ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের ‘পাতাং’ এক টানটান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ থ্রিলার যা পাঠককে এক টানে নিয়ে যাবে এক অজানা ভূবনে। সেই অজানা ভূবনে আপনাকে স্বাগতম।