"আই অ্যাম ওকে ইউ আর ওকে" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: আমার নিজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমি বড়। আমি সংখ্যাধিক্যের অধিকারী। -ওয়াল্ট হুইটম্যান। ইতিহাস জুড়ে মানবপ্রকৃতির একটি বিষয় অপরিবর্তিত রয়েই গেছে, আর তা হলাে মানুষের নানা প্রকৃতি। বেশিরভাগ সময় মানুষের দ্বৈত প্রকৃতিই ধরা পড়ে। আর মিথােলজিক্যালি, দার্শনিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে এটির প্রকাশ ঘটেছে। সবসময়েই এটিকেই দেখা হয়েছে একটি দ্বন্দ্ব হিসেবে : ভালাে মন্দের দ্বন্দ্ব। নিচু প্রকৃতি আর উঁচু প্রকৃতির মাঝে দ্বন্দ্ব, অভ্যন্তরীণ মানুষ আর বাহ্যিক মানুষের সংঘাত। লেখক সামার সেট মম বলেছেন, মাঝে মাঝে আমি নিজের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের দিকে তাকিয়ে হতবুদ্ধি হয়ে যাই। বুঝতে পারি আমি অসংখ্য ব্যক্তি দ্বারা তৈরি একজন এবং এ মুহূর্তে সেই মানুষটি ওপরের দিকে হাত তুলেছে, যে একসময় অনিবার্যভাবে আরেকজনের জন্য জায়গা করে দেবে। কিন্তু প্রকৃতজন। কোনজন? ওরা সকলেই নাকি কেউ না? মােজেস মহত্ত্ব বা ভালােত্বকে ন্যায়বিচার হিসেবে দেখেছিলেন। প্লেটোর প্রধান বিষয় ছিল জ্ঞান আর যীশুখ্রিষ্ট, ভালােবাসাকেই সবচেয়ে প্রাধান্য দিতেন। বিংশ শতকের শুরুতে ফ্রয়েডের তত্ত্বের মৌলিক অবদান ছিল এই যে, প্রতিযােগিতামূলক বিষয়গুলাে বাস করে মনের অবচেতনে। আমি হু ইজ অ্যাফ্রেড অব ভার্জিনিয়া উলফ' সিনেমা দেখার পরে প্রেক্ষাগৃহের লবিতে দাঁড়িয়ে দর্শকদের নানারকম মন্তব্য শুনছিলাম। কেউ কেউ ছবিটির ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করছিল। কেউ বলছিলাে ‘ওরা এসব কী হাবিজাবি দেখালাে?