"কিশোর হরর কাহিনি প্রেতাত্মার তাণ্ডব" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা সংকলনের শুরুতেই রবার্ট ব্লচ-এর পিশাচদেবতা। হঠাৎ হালকা একটা শব্দ হলাে... বিদ্যুৎগতিতে ঘুরে দাঁড়ালাম, দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আছে সেই মুখােশধারী কুমির-মানব। ওই, ওই যে সে! চেঁচিয়ে উঠলাম। সেই টেবিলের গায়ে হেলে গেল ভ্যানিং, ছাই হয়ে গেছে মুখ । চৌকাঠের দিকে তাকাল সে, দৃষ্টি ফিরে এল আমার দিকে, উদ্ভ্রান্ত। মৃত্যুর ছায়া দেখলাম ওর চোখে কুমিরের মুখােশ পরা ওই লােকটা...আমি ছাড়া আর কেউ ওকে দেখেনি। একি আসলেই মুখােশধারী কেউ নাকি পিশাচদেবতা সেবেক স্বয়ং? তার কবর খোঁড়ার অপরাধে এসেছে প্রতিশােধ নিতে?. অপরদিকে গা শিরশির করে উঠবে এডগার অ্যালান পাে’র অভিশপ্ত প্রাসাদ। কফিনে শােয়ানাে ম্যাডেলিনের লাশ আমি আর রডরিক একটা ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে গেলাম। ঘরটাকে একটা ভল্ট বলাও চলে, বাড়ির ফাউন্ডেশন দেয়ালের সাথে। ঘরটা ছােট, স্যাঁতসেতে আলাে-টালাে নেই। আমি যে ঘরে শুই সেটার ঠিক নিচে এই ঘরটা। বহু আগে এই ঘরটা কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হত। তারপর এটার রূপান্তর ঘটে গােলাবারুদের স্টোর রূম হিসেবে। ঘরটার দেয়াল, মেঝে, ভারি লােহার দরজাটা পর্যন্ত তামা দিয়ে মােড়ানাে। ড্যাম্পের হাত থেকে রক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা। লক্ষ করলাম খােলার সময় তীক্ষ, খরখর আওয়াজ করল দরজাটা। ভল্টের ভিতরে, কাঠের কতগুলাে স্ট্যান্ডের ওপর কফিনটা রাখলাম দু’জনে। কফিনের ঢাকনা খুলে শেষবারের মত তাকালাম মৃত ম্যাডেলিন আশারের মুখের দিকে। তেমনি লর্ড হ্যালিফ্যাক্স-এর বিভীষিকার রাত, এ ডি ই স্মিথ-এর ভূতুড়ে বস্ত্র সহ নানা কাহিনি কিশােরদের ভীষণ আনন্দ দেবে। প্রতিটি গল্পই খাঁটি হরর গল্পের স্বাদে সিক্ত করে পাঠককুলকে।