রত্নদ্বীপ ভিক্টর হুগাে পাহাড়ের গা থেকে ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়ছে কুচি-কুচি পাথর। সেই আওয়াজ শুনে চোখ মেলে চাইলাম সেদিকে। কী-যেন একটা দৌড়ে উধাও হয়ে গেল একটা পাইন গাছের আড়ালে। কী ওটা? বানর, -ভালুক? জীবনটা ভয়ংকর কাল ও লােমশ বলে মনে হল! কী ও! ওই যে গাছের গুঁড়ির আড়ালে-আড়ালে ছুটছে তীর বেগে? মানুষ! মানুষ! সন্দেহটা দূর হল না কিছুতেই। মহাবিপদের মুখােমুখি হল রত্নদ্বীপের যাত্রীরা। জাহাজ দিশেহারা হয়ে ছুটলাে বহুক্ষণ ধরে। কোথায় | ভিড়ল কে জানে? ঠিক সেই সময়ে বেইমান ডাকাত ইসরায়েল হ্যাণ্ডস মস্তবড় একটা ছােরা ছুঁড়ে মারল। শুরু হলাে এদিকে-ওদিকে ছুটোছুটি করছি, একজন হামাগুড়ি দিতে গিয়ে তার ছােরাখানা মরা নাবিকের বুক থেকে খুলে এনেছিল। ভাগ্যিস ছােরা তার কাঁধে। সামান্যই বিধল। কিন্তু হ্যাণ্ডসের উপর রাগে সে এমন। ফেটে পড়ল যে, জামার ভেতর থেকে পিস্তল টেনে নিয়ে সেই মুহূর্তে তাকে গুলি মারল। এভাবে তার হাত দিয়ে প্রথম মানুষ-খুন ঘটে গেল। ঠিক সেই মুহূর্তে আঁধারের মাঝে একটা গলা শুনতে পাওয়া গেল- “আটমােহরী গিনি! আটমােহরী গিনি!” আমি একেবারে চমকে উঠলাম! এ যে কাপ্তেন ফ্লিন্ট সিলভারে চন্দনা! চন্দনার ডাকে জেগে লাফিয়ে উঠল ছজন ডাকাত! বন্দী হলাে সবাই। ওরা কি সত্যিই মুক্তি পাবে এই বিপদ থেকে?