"ডিটেকটিভ হেকিম হোমস" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: পাঠক গােয়েন্দা গল্প পড়তে ভালােবাসে। কিন্তু তা নিছক গল্প পড়াই হয়। নিজেকে সেই গল্পের গােয়েন্দা হিসাবে উপস্থাপন করা আর হয়ে ওঠে না। গল্পের শেষে গােয়েন্দার হাতেই সমস্যার সমাধান। হয়, পাঠক সমাধান পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তােলে! কিন্তু পাঠকরাই যদি গােয়েন্দা হয়ে যায় তাহলে কেমন হয়? গােয়েন্দার সাথে মিলে রহস্য উদঘাটন করে পাঠক নিজেই যদি নেমে পড়ে রহস্য উদঘাটনে? পাঠক নিজেই যদি রহস্যের সমাধানে এগিয়ে আসে? নিজেই সেই রহস্য সমাধান করে? তখন কেমন হয়? ডিটেকটিভ হেকিম মুনশি সেরকমই এক গােয়েন্দা গল্পের সংকলন যেখানে পাঠকই গােয়েন্দা! প্রতিটি গােয়েন্দা গল্পই শেষ হয়েছে পাঠকের হাতে সমাধান খুঁজতে দিয়ে। সেই সমাধান খুঁজতে গিয়ে পাঠককে গল্পটা শুধু পাঠ করলেই হবে না মাথা খাটিয়ে রহস্যের সূত্র ধরে এগিয়ে যেতে হবে সমাধানে । তবেই মিলবে মুক্তি! ডিটেকটিভ হেকিম মুনশিতে হেকিম মুনশির গােয়েন্দাগিরি তাে থাকছেই, সেই সাথে পাঠক শখের গােয়েন্দা নাভিদের সহকারী হয়ে করতে পারবেন গােয়েন্দাগিরি, পেশাদার সরকারি গােয়েন্দা রাশাদ রাহাকেও জ্যোতির্ময় বুড়াের মতাে করে সাহায্য করতে পারেন, ক্ষ্যাপাটে গবেষক মফেজ ডাক্তারের অদ্ভুত সব কেসেও শামিল হতে পারেন। তাহলে নেমে পড়া যাক গােয়েন্দা গল্পের রহস্যের সমাধানে...
প্রিন্স আশরাফ জন্ম গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার বড়দলে, ৪ ফেব্রুয়ারি । বাবা ডা. সফেদ আলী সানা। মা সাহারা বানু। পেশায় চিকিৎসক হয়েও লেখালেখিতে ঝােঁকটা বেশি। দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন । রহস্য, থ্রিলার, হরর, অতিপ্রাকৃত, সায়েন্স ফিকশন লিখলেও মূল ধারার গল্প-উপন্যাসেই আগ্রহটা চোখে পড়ে। শিশু সাহিত্যেও সমান পদচারণা। লেখালেখির পাশাপাশি আলাে ও ছায়া নামে সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করছেন । দৈনিক যায়যায়দিনের সম্পাদনা সহকারীর দায়িত্বে আছেন । বৈশাখী চ্যানেলে নাটক লিখে পুরস্কৃত হয়েছেন । ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী সুলেখিকা তাহমিনা সানি ও একমাত্র কন্যাসন্তান সারাহকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ ।