"সমকালীন আফ্রিকার গল্প" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: ‘সমকালীন আফ্রিকার গল্প’-এ আফ্রিকা মহাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের নামী-দামী এবং খ্যাত-স্বল্পখ্যাত চৌদ্দটি দেশের ‘উত্তর-জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত কুড়িজন। লেখকের কুড়িটি ছােট ও বড় গল্প এবং একজন লেখকের চারটি অণুগল্প রয়েছে। লেখকদের তালিকায় একদিকে যেমন আছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত ও ভিনদেশি সাহিত্য মহলে সুপরিচিত লেখক, তেমনি আছেন স্বদেশে পরিচিত এবং বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত উদীয়মান তরুণ লেখক । আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত লেখকদের মধ্যে নাইজেরিয়ার চিমামন্দ নােগজি অ্যাডিচি, জাম্বিয়ার নাম্বালি সেরপেল, কেনিয়ার ওকউইরি ওদুর, জিম্বাবুইয়ের নাে ভায়ােলেট বুলাওয়ায়াে, দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিয়েটা রােজ-ইনিস, লিবিয়ার হিশাম মাতার ও নাজওয়া বিন শাতওয়ান, মালাউইর স্ট্যানলি ওনযেজানি কেনানি, তিউনিশিয়ার কামেল রিয়াহি এবং ক্যামেরুনের প্যাট্রিস নানাং উল্লেখযােগ্য। এদের জন্ম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ সবারই বয়স পঞ্চাশের নিচে। এই সংকলনে অন্তর্ভূক্ত গল্পগুলাের মধ্যে একটি করে গল্প অনুবাদ করেছেন রােখসানা চৌধুরী, অদিতি ফাল্গুনী, তানভীর আহসান, মেহেদী হাসান, আকতার জামিল, নাসরিন জে রানি এবং বাদবাকি গল্প অনুবাদ করেছেন ফজল হাসান। প্রতিটি গল্পের শুরুতে গল্পকারের সংক্ষিপ্ত জীবনী, বিশেষ করে তাদের সাহিত্যকর্মের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তার প্রধান কারণ উৎসাহী পাঠক যেন বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ভিন্ন চিন্তা-চেতনার লেখকদের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি গল্পের শেষে রয়েছে গল্পসূত্র। আশা করি, সংকলনের গল্পগুলাে আফ্রিকার সাম্প্রতিক সময়ের গল্প সম্পর্কে বিদগ্ধ এবং উৎসাহী পাঠকদের মনে খানিকটা আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
ফজল হাসান সাহিত্যিক ছদ্মনাম। পােষাকী পরিচয় ড. আফজল হােসেন। মৌলিক ছােটগল্প, অনুবাদসাহিত্য এবং ছড়া রচনায় তিনি ইতােমধ্যে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যায় এবং সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে তার মৌলিক এবং অনুবাদ গল্প । এ পর্যন্ত তিনটি মৌলিক ছােটগল্প এবং পাচটি অনুবাদ গল্পের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলামাটি অনলাইন ম্যাগাজিনে অস্ট্রেলিয়ার চিঠি শিরােনামে নিয়মিত কলাম লিখছেন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পেয়েছেন প্রিয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘প্রিয় লেখক পুরস্কার এবং ২০১০ সালে। ‘বাসভূমি’র পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে পেয়েছেন বাসভূমি পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করার পর ফরেস্ট্রিতে। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সপরিবারে বসবাস করছেন ক্যানবেরায়।