ছোটদের মহাবিশ্ব পরিচিতি। তথ্য বহুল সহজ সরল ঝকঝকে ছবিসহ লেখা বই। মহাবিশ্ব নিয়ে রয়েছে নানা গবেষণা ও একই সাথে নানা ধরণের কল্পনা। কিছু তথ্য উপাত্ত-ভিত্তিক জ্ঞান কিন্তু এখন সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয়, এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা হয়ে থাকে মহাবিশ্ব। সঠিকভাবে মহাবিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা বা পর্যবেক্ষণ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। মহাবিশ্ব নিয়ে যুগে যুগে প্রায় সব মানুষেরই কৌতুহলের অন্ত নেই। বড়রা যেমন মহাবিশ্বের নানা দিক নিয়ে ভাবছে তেমনি ছোটদেরও এ নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। তাই ছোটদের ভাবনা চিন্তা কৌতূহল মেটাতে লেখক আলী হাসান লিখেছেন ‘ছোটদের মহাবিশ্ব পরিচিতি’। সম্পূর্ণ চার রঙ্গে ছাপা এ বইটিতে সূচিবদ্ধ করা হয়েছে- মহাবিশ্ব, সৌরজগৎ, গ্রহরা কে কেমন, উল্কা, নাকি শয়তানের ঢিল, আজব জ্যোতিস্ক ধূমকেতু এবং চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। মহাবিশ্বের মধ্যে রয়েছে ছায়াপথ গ্যালাক্সি, মহাবিশ্ব কী একাধিক, বিগ ব্যাং। সৌরজগৎ এর মধ্যে রয়েছে- গ্রহ, টেরেস্ট্রিয়াল গ্রহ, জোভিয়ান গ্রহ, উপগ্রহ, বামনগ্রহ, ক্ষুদ্র সৌরজাগতিক বস্তু। গ্রহরা কে কেমন অংশে আছে- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন। এমনভাবে প্রতিটি অংশেই রয়েছে তথ্য বহুল সহজ সরল ঝকঝকে ছবিসহ লেখা। এতো বিশাল মহাবিশ্বকে কিছুটা হলেও বুঝতে সাহায্য করবে এই বইটি।
টাঙ্গাইল জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের থানা নাগরপুর। এরই দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষা এক নিভৃত পল্লির অজপাড়াগাঁ বাড়িগ্রাম। যোগাযোগ অত্যন্ত নাজুক। এ গ্রামে ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলী হাসান। বাবা মরহুম মারফত আলী ব্যবসায়ী, মা মোছাম্মত জিরাতন্নেছা অত্যন্ত মেধাবী ও হস্তশিল্পে পারদর্শী। মায়ের প্রচেষ্টায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর অতিক্রম করে নাগরপুর কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যয়ন শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম এবং নাট্যগোষ্ঠির সংস্পর্শে আসার সুযোগ ঘটে। লেখালেখি শুরুও তখন থেকেই। ১৯৮৮ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত। বর্তমান গ্রন্থের অনেকগুলো প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম সম্পাদিত ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’, ‘দৈনিক প্রথম আলো’, ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত।