লে খ কে র ক থা আমরা যে সমাজে বাস করি, মূলত তার দুটি রূপ। একটি দৃশ্যমান, অন্যটি চোখের আড়ালে। দৃশ্যমান বিষয় বস্তুগুলো নিয়ে সাধারণত আলোচনা কম হয় বা আমাদের আগ্রহ কম থাকে। কিন্তু চোখের আড়ালে ঘটে যাওয়া কোনো বিষয় যখন দৃশ্যমান হয় এবং তা যদি হয় অস্বাভাবিক তবে তা নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি থাকে না। আমার এই উপন্যাসের বিষয়টাও সমাজের ২য় রূপ। চোখের আড়ালে ঘটে যাওয়া নৃশংস পাশবিক ঘটনার বর্ণনা। সুস্থ স্বাভাবিক দেখতে একজন মানুষ কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তার ভেতরে কতটা নারকীয় উল্লাস থাকতে পারে তা আমরা কেউ জানি না ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না তার ভেতরের পশুটা প্রকাশ পায়। এটা তেমনই এক হিংস্র মানুষরূপী জানোয়ারের গল্প। অথবা স্রেফ অসুস্থ এক মানুষের গল্প। যার হিংস্রতার বলী হয়েছে অনেকগুলো সুস্থ দুর্ভাগা মানুষ। এই উপন্যাসে ঘটনার বর্ণনায় এমন কিছু বীভৎসতা পাওয়া যাবে যা মনে হবে অস্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বাস করেন এই সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় যাদের নৃশংসতা বা বীভৎসতা আমার এই বর্ণনার চাইতেও অনেক বেশি। তাই দুর্বল চিত্তের পাঠকদের এই বই এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পাশাপাশি গল্পের চরিত্রের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু আদিভৌতিক ঘটনার বর্ণনা পাবেন যা পাঠে পাওয়া যাবে অন্য রকম অনুভূতি। মূল ঘটনাকে ঠিক রেখে গল্পের ধারাবাহিকতায় কিছু কল্পনার মিশ্রণ দিয়ে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি উপস্থাপন করা হয়েছে। ভূত নেই, তবে ভয় আছে এখানে। বিশেষ করে হরর প্রিয় পাঠকদের ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে চলুন প্রবেশ করা যাক, দেড়শো বছর আগের এক নরখাদেকর ব্যক্তিগত রচনায়। আহমাদ স্বাধীন লেখক
নাম- আহমাদ স্বাধীন পিতা- মৃত মোঃ বাদশাহ মিয়া মাতা- হোসনেয়ারা বেগম জন্ম- ১লা জুলাই ১৯৮৪ পেশা- পোশাক ডিজাইনার বসবাস- সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১টি