নব্বই এর স্বৈরাচার বিরােধী আন্দোলনের সময়। সমাজ ও দেশ বদলে দেয়ার অসম্ভব এক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে আর এক শহরের তরুণ আবীর ছাত্র রাজনীতির। খােলনলচে বদলে দেয়া ও ছাত্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশটাকে পাল্টে দেয়ার এক পাইলট প্রকল্প শুরু করে ক্যাম্পাসে ও এক নিভৃত পল্লীতে। ঘটনাচক্রে পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুন্নার সাথে। পরবর্তীতে তার বােন লিসা এবং বাবার বন্ধুর মেয়ে অথৈ এর সাথে। একটা ত্রিমুখী সম্পর্ক ও সঙ্কট তৈরি হয়। এদিকে মধুর ক্যান্টিনে একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয় গ্রাম থেকে পড়তে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অভীক। এক সময় ছাত্র রাজনীতির অপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্মস্ ক্যাডারে পরিণত হয়। নেতাদের নির্দেশে হেন কাজ নেই যা তাকে করতে হয়না। ঘটনাচক্রে পরিচয় ঘটে চারুকলার ছাত্রী ইভার সাথে এবং একটা সম্পর্ক দানা বেঁধে ওঠে। দুটো বিপরীতমুখী ঘটনা পাশাপাশি চলতে থাকে। ঘটনা চক্রে আবীর ও ইভার পরামর্শে এক সময় অভীক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং ছাত্র রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরিণতি হয় অত্যন্ত নির্মম। আবীর ক্যাম্পাসে রাজনীতি-নিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন গড়ে তােলে। ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনই আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মূমুর্মূ অবস্থায় তাকে যেতে হয়। হাসপাতালে।
নাজিম পশি, পুরাে নাম এস এম নাজিমুল ইসলাম; ডাক নাম পশি। জন্ম গােপালগঞ্জ জেলার পুখরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মােঃ আলাউদ্দীন সরদার, মা নুরজাহান বেগম। কাগজেপত্রে জন্ম তারিখ ১০ জুন, ১৯৭০। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে। মাধ্যমিক কেটেছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও ঢাকা শহরের চারটি হাইস্কুলে। হাজী খােরশেদ সপ্তপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকহার, গােপালগঞ্জ থেকে মাধ্যমিক পাশ। উচ্চ মাধ্যমিক কেটেছে ঢাকা কলেজ, সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ, গােপালগঞ্জ ও ঢাকা সিটি কলেজে। কখনাে বিজ্ঞান কখনাে মানবিক কখনাে বানিজ্য বিভাগের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র, আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস গ্রাজুয়েট; এনইউ বিএটির ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার্স। কর্মজীবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। বিসিএস আনসার ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে সরকারের একজন উপসচিব হিসেবে কর্মরত।