সবেমাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ে সাদিয়া। বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। হঠাৎ আবেগের বশে ভালােবাসায় হাবুডুবু খেয়ে ভুলে গেছে তার সকল স্বপ্নকে । অথচ তাকে নিয়ে তার বাবা-মায়ের স্বপ্নও কম নয়। প্রেমিকের সাথে একমুহূর্ত কথা না বলেও থাকতে পারে না। বাবা-মায়েরও অনেক চাপ ভালােবাসা ছেড়ে পড়ালেখায় মনােযােগ দেওয়ার জন্য। সাদিয়া কী করবে এখন? কোনটা টিকিয়ে রাখবে? ভালােবাসা না পড়ালেখা? ইতােমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। হজম করতে হচ্ছে। বাবার মার। নিয়ে গেছে মােবাইল ফোন। তারপরও প্রেমিকের দেওয়া মােবাইল দিয়ে গােপনে যােগাযােগ করে যাচ্ছে সাদিয়া। ভালােবাসায় দুজন যখন পরিপূর্ণ এর মাঝেই বিয়ে হয়ে যায় প্রেমিকের। নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়েও প্রেমিককে না-পাওয়ার বেদনায় অস্থির সাদিয়া। প্রেমিককে প্রস্তাব দেয় তাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু প্রেমিকের কথা সে সাদিয়াকে বিয়ে করলে তার স্ত্রীকে ঠকানাে হবে। আস্তে আস্তে গলতে শুরু করল বরফ। আবারও জোড়া লাগল দুজনের ভালােবাসায়। অপরদিকে প্রেমিকের স্ত্রী স্বামীর অধিকার ছাড়া হয়েও বাস করছে স্বামীর ঘরেই। এক সময় স্ত্রীর কোলে আসে একটি ফুটফুটে সন্তান। সাদিয়া এখন ভার্সিটিতে পড়ে। পরিবারে আসছে নানা বিয়ের প্রস্তাব। প্রেমিকের আশায় ভেঙে দেয় সকল বিয়ে। এর মাঝেই ক্যানসারে মারা যায় প্রেমিকের স্ত্রী। খুশিতে আত্মহারা প্রেমিক। আর সাদিয়াও অপেক্ষায় প্রেমিকের। এবার বুঝি শেষ হচ্ছে অপেক্ষা। কিন্তু বিধি বাম মায়ের পছন্দে আবারও দ্বিতীয় বিয়ে করতে হয় প্রেমিককে। সাদিয়ার যেন আবারও বিনা মেঘে বজ্রপাত। শেষ হয়েও শেষ হলাে না অপেক্ষার। আবারও অপেক্ষা করে যাচ্ছে সাদিয়া। কিন্তু সাদিয়া জানে না কবে শেষ হবে তার অপেক্ষা। আর কবে নিজের করে পাবে তার প্রেমিককে।
রেদোয়ান মাসুদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কবি, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকার। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। রেদোয়ান মাসুদের জন্ম ৬ই জানুয়ারী শরীয়তপুরের জাজিরায়। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সি ই ও, হেলথ এইড হাসপাতাল লিঃ এর পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল মোড়ল নিউজ এর প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘অপেক্ষা-১’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ম্যাক্সিম ‘জোছনায় পোড়া চোখ’। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে। মাছ ধরা, ঘেলাধুলা ও বাগান করা ছিল তার প্রিয় শখ অথচ এই ইটপাথরের দেওয়ালঘেরা শহরে তাকে পেয়ে বসেছে লেখার জগতে। তবে শহরের এই যান্ত্রিক জীবনেও তাকে বারবার তাড়িয়ে বেড়ায় গ্রামের সেই মা ও মাটির গন্ধ। রেদোয়ান মাসুদ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ মানুষকে খুব বেশি ভালবাসেন। শত ঝামেলার মাঝেও তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্যবোধ করেন না। তিনি ততোটা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।