ধরেই নিলাম শেখ মুজিব ভুল করেছিলেন। কিন্তু যে মানুষটা একটা দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম করে দেশ ও জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিতে পারলেন তার উপর কি এতটুকু আস্থা রাখা গেল না। বাকশাল ব্যর্থ হলে সেটা না বোঝার মত মানুষ তো শেখ মুজিব নন। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এটা বলে না। আমরাই তাহলে বুঝতে ভুল করেছিলাম? অনেকেই বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যেই তিনি বহুদলীয় মতবাদের যে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করেছিল তার একটা সমাধান খুঁজেছিলেন। কথাটা ভুল। আমি বলতে চাই বাকশাল কোন রাজনৈতিক দল নয়। এটা একটা পদ্ধতি। সবাই মিলে একটা রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার পদ্ধতি। এর জন্যে দরকার হয় বহু দলীয় ঐক্য, ত্যাগ আর আন্তরিকতার। কিন্তু তার জন্য কি আমরা আদৌ প্রস্তুত ছিলাম। ব্যক্তিগত সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা কতজন পেরেছিলাম তার ঐ জাতীয় ঐক্যের পদ্ধতিতে বিশ্বাস স্থাপন করে তাকে সঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে। যদি পারতাম তাহলে এর পরিণতি এমন হতো না। সেদিন যারা বাকশালের সাথে যুক্ত ছিলেন তারাও এর সঠিক মর্ম উপলব্ধি করতে পারেননি। যদি পারতেন তাহলে শেখ মুি জবের মৃত্যুর পর তারা সোল্লাসে মোশতাক সরকারের মন্ত্রী সভায় যোগ দিতে পারতেন না। যদি এমনই হবে তাহলে তৎকালীন সময়ে, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী আর দেশদ্রোহী পাকিস্তানপন্থী রাজাকারদের মধ্যে কি-ই বা পার্থক্য থাকল। এ ধরনের বিশ্বাসীদের চাইতে তো বরং অবিশ্বাসীরাই ভালো। মূলতঃ শেখ মুজিব এসব কারণেই ব্যর্থ হয়েছিলেন।
ওমর খালেদ রুমি জন্ম : ১০ ই জানুয়ারি ১৯৭৫ পিতা : মোহাম্মদ আইউব আলী হাওলাদার মাত: রহিমা খাতুন জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলা। শিক্ষাগত যোগ্যতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ। এলএলবি করেছেন সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে। তিনি ২২তম বিসিএস-এ জেনারেল ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কর্মস্থান : বর্তমানে এক্সিম ব্যাংকে এসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী শামিমা আক্তার শিউলি প্রাইম ব্যাংকে কর্মরত আছেন। নুবা ও উমায়না নামে তাদের দুটি কন্যা সন্তান আছে। ২০০১ সালে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তারপর একে একে প্রায় শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।