সময়ের ব্যাপারে সালাফের অবস্থা ইয়াজিদ আর-রাক্কাশি নিজের হিসাব গ্রহণ করে বলতেন, ‘হে ইয়াজিদ, তোমার মৃত্যুর পর কে তোমার পক্ষ থেকে সালাত আদায় করবে? ইয়াজিদ, তোমার মৃত্যুর পর তোমার পক্ষ থেকে কে রোজা রাখবে? ইয়াজিদ, তোমার মৃত্যুর পর তোমার পক্ষ থেকে কে তোমার রবকে সন্তুষ্ট করবে?’ এরপর তিনি কেঁদে কেঁদে বলতেন, ‘হে লোক সকল, তোমরা কি নিজেদের সত্তার ব্যাপারে ক্রন্দন ও বিলাপ করবে না, মৃত্যু যাকে খুঁজছে, কবর যার গৃহ, মাটি যার বিছানা এবং কীট যার সঙ্গী? এত কিছু সত্ত্বেও তাকে প্রতীক্ষা করতে হবে মহাবিপদ দিবসের। তখন তার অবস্থা কেমন হবে?’
. যখন কারও সামান্য সম্পদ বা স্বর্ণের হার হারিয়ে যায়, তখন সে কত পেরেশান হয়ে যায়! কিন্তু অনর্থক কাজে তার জীবন ও সময় নষ্ট হয়ে যাওয়াতে তার কোনো পেরেশানি হয় না! আবু দারদা রা. বলতেন, ‘প্রত্যেকের জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় ঘাটতি রয়েছে। আর তা এ কারণে যে, তার কাছে যখন দুনিয়ার সম্পদ অধিক পরিমাণে আসে, তখন সে খুব আনন্দিত হয়; কিন্তু দিবানিশি অবিরতভাবে যে সে নিজ জীবন ধ্বংস করছে, এতে কিন্তু সে মোটেও চিন্তিত নয়। সম্পদ বেড়ে কী লাভ হবে, যখন বয়স কমে যাচ্ছে?’
. সিররি রহ. বলতেন, ‘সম্পদের ঘাটতিতে যদি তুমি চিন্তিত হও, তাহলে বয়সের ঘাটতিতে ক্রন্দন করো।’ আবু বকর বিন আইয়াশ রহ. বলেন, ‘যদি তোমাদের কারও একটি দিরহাম হারিয়ে যায়, তাহলে তার পুরো দিন এই বলে কেটে যায় যে, “ইন্নালিল্লাহ, আমার দিরহামটি হারিয়ে গেছে।” কিন্তু সে বলে না যে, “আমার দিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এই দিনটিতে কী করেছি?!”
শাইখ খালিদ আর-রাশিদ—দাঈ। সৌদি আরবের পূর্ব-প্রদেশের শহর আল-খোবারে ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মহল্লার মসজিদে হিফজুল কুরআনের হালকায় বসতেন। শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল আকর্ষণ। তবে স্বপ্ন ছিল তিনি সামরিক অফিসার হবেন। ক্রিমিনোলজি নিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য তিনি আমেরিকা চলে যান। পড়াশোনা শেষে তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন এবং ফুটবল খেলতে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৪১২ হিজরির রমাজান মায়ের কথায় তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি দীনি ইলম অর্জনে মনোনিবেশ করেন। এবং আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে গিয়ে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০৫ সালে ডেনমার্কের একটি পত্রিকা প্রিয় নবি সা.-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করলে তিনি প্রতিবাদী হন এবং গ্রেপ্তারি বরণ করেন।