বইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ: * অনুবাদকের কথা * ভূমিকা * সময় কী ? * আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য * সালাতুদ দুহা বা চাশতের নামাজ * কুরআন তেলাওয়াত * নবীজির এই প্রতি ... See more
TK. 200 TK. 150 You Save TK. 50 (25%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
নিশ্চিত ৫০% ছাড়ে পাচ্ছেন সমকালীন প্রকাশন-এর সকল বই!
নিশ্চিত ৫০% ছাড়ে পাচ্ছেন সমকালীন প্রকাশন-এর সকল বই!
বইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ: * অনুবাদকের কথা * ভূমিকা * সময় কী ? * আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য * সালাতুদ দুহা বা চাশতের নামাজ * কুরআন তেলাওয়াত * নবীজির এই প্রতি দুরূদ পড়া * জানাযার নামাজে শরিক হওয়া * আল্লাহর জিকির * সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়া * তাওবা ও ইস্তেগফার করা * সুযােগ আসা মাত্রই তা কাজে লাগানাে * শিশুদের আদর করা * দোয়া * মুহাসাবা * পড়াশুনা * বিপদে অন্যকে সাহায্য করা * আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা * ইসলামি রেকর্ডার * আল্লাহর জন্য পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ করা * নামাজের পরের জিকিরগুলাে আদায় করা * পরস্পরের মাঝে মীমাংসা করা * নিশ্চয় এটা তােমার জীবনেরই অংশ
ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরববিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি। জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের উত্তরে অবস্থিত ‘বীর’ নগরীতে বিখ্যাত আসিম বংশের কাসিম গােত্রে। তার দাদা শাইখ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ। বিন কাসিম আল-আসিমি আন-নাজদি রহ. ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ। তাঁর পিতা শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান রহ.ও ছিলেন আরবের । যশস্বী আলিম ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা। শাইখ আব্দুল মালিক। আল-কাসিম জন্ম সূত্রেই পেয়েছিলেন প্রখর মেধা, তীক্ষ্ণ প্রতিভা আর ইলম অর্জনের অদম্য স্পৃহা। পরিবারের ইলমি পরিবেশে নিখুঁত তত্ত্বাবধানে বেড়ে । উঠেছেন খ্যাতনামা এই লেখক। আনুষ্ঠানিক পড়াশােনা শেষ করে আত্মনিয়ােগ করেন লেখালেখিতে—গড়ে তােলেন ‘দারুল কাসিম লিন নাশরি ওয়াত তাওজি’ নামের এক প্রকাশনা সংস্থা। প্রচারবিমুখ এই শাইখ একে একে উম্মাহকে উপহার দেন সত্তরটিরও অধিক। অমূল্য গ্রন্থ। আত্মশুদ্ধিবিষয়ক বাইশটি মূল্যবান। বইয়ের সম্মিলনে পাঁচ ভলিউমে প্রকাশিত তাঁর ‘আইনা নাহনু মিন হা-উলায়ি' নামের সিরিজটি পড়ে উপকৃত | হয়েছে লাখাে মানুষ। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই সিরিজের অনেকগুলাে বই। আজ-জামানুল। কাদিম’ নামে তিন খণ্ডে প্রকাশিত তার বিখ্যাত। গল্প-সংকলনটিও আরববিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় ছয় খণ্ডে রচনা। করেছেন রিয়াজুস সালিহিনের চমৎকার একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ। এ ছাড়াও তাঁর কুরআন শরিফের শেষ। দশ পারার তাফসিরটিও বেশ সমাদৃত হয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে শাইখের দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।
ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়াতে মানুষের জীবন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বেঁধে দেওয়া এই সময় থেকে কোনো মানুষই পালাতে পারবে না। একটি মূহুর্তও এদিক সেদিক হবে না। শত চেষ্টা করলেও একসময় না একসময় মৃত্যু এসে গ্রাস করবেই। দুনিয়ার এই অতি ক্ষুদ্র সময়টুকুর সঠিক ব্যবহার যারা করে, তারাই পরকালে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু মানুষ সময়ের যথার্থ মূল্যায়ন করে না। মানুষ নানাভাবে নিজের মহামূল্যবান সময়কে নষ্ট করছে। অযথা নিজের সময়কে ব্যয় করছে আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইরে। মানুষ এভাবে আল্লাহর অবাধ্যতায় নিজের জীবনকে কলুষিত করছে। অথচ মানবজাতির মূল উদ্দেশ্য হওয়ার কথা আল্লাহর আনুগত্য করা। সময় ব্যয়ের সঠিক ও একমাত্র খাত হচ্ছে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এর বাইরে সময় ব্যয় ভুল ও ভ্রান্ত পথ।
বইটির প্রথমদিকে এভাবেই সময়ের গুরুত্ব, সময় ব্যবহারের সঠিক খাত ও পথ এবং আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইয়ের বাকি অংশে লেখক বেশকিছু প্রসিদ্ধ আমল উল্লেখ করেছেন। মূলতঃ আমলগুলোকে একত্র করা লেখকের উদ্দেশ্য না। লেখকের নিজের ভাষায়, "এই পুস্তিকা রচনার দ্বারা আমার উদ্দেশ্য এসকল আমলকে একত্র করা নয়। বরং আমার উদ্দেশ্য হলো, এসকল আমলের মাধ্যমে আমরা যেন পরিপূর্ণভাবে সময়ের হেফাজত করতে পারি এবং সময় থেকে পূর্ণ ফায়দা গ্রহণ করতে পারি।"
পাঠ অনুভূতিঃ _______________
শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম বরাবরই আমার প্রিয় লেখকদের একজন। তিনি নিজের লেখনীর মাধ্যমে অসংখ্য পাঠকের হৃদয় জয় করেছেন। 'দশ মিনিটের আমল' বইটির প্রাণবন্ত লেখনী আর শব্দচয়ন যেকোনো পাঠকের মন জয় করবে। বইটিতে উল্লেখিত প্রতিটি আমলগুলোকে তিনি চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে কোরআন-হাদীসের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে দশ মিনিট করে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে আমরা পরবর্তীতে আমলগুলোর উপর অভ্যস্ত হতে পারি। দশ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলার জন্য নয়। আমরা যেন আমাদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে আল্লাহর আনুগত্যে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যয় করতে পারি, এটাই বইয়ের মূল থিম।
দ্বীনি ভাইবোনদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সময়ের অভাবে ফরয ইবাদাতগুলো ব্যতীত আর কোনো নফল ইবাদাত বা আমল করা হয়ে উঠে না। চাকরির ব্যস্ততা, পড়াশোনার চাপ, পরিবারে সময় ব্যয় কিংবা বাচ্চা-কাচ্চা সামলানো ইত্যাদি কারণে অনেকেরই বাড়তি সময় তেমন একটা থাকে না। অবশ্যই নিজের আবশ্যিক নিজের দৈনন্দিন কাজগুলোরও গুরুত্ব আছে। কিন্তু যারা এর বাইরেও কোনো আমল করতে চান, যাদের নিয়ত সুস্থ এবং খাঁটি, তাঁদের জন্য এ বইটি হাইলি রিকমান্ডেড। এ বই থেকে তারা অনেক বেশি উপকৃত হতে পারবেন।
শাইখরা বলেন, "আমল শুধু সংখ্যায় নয়, ওজনেও ভারী হতে হবে।" কিন্তু আমল যদি একইসাথে কম সময়সাপেক্ষ হয়! এ বইটিতে এমন অনেক আমল উল্লেখ করা হয়েছে, যার জন্য আপনাকে আলাদা করে সময় ব্যয় করতে হবে না। আপনি আপনার কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে আল্লাহর আনুগত্যে সঁপে দিতে পারেন।
যারা নিজের আমলকে স্থায়ী করতে পারেন না বা আমলকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেন না। তাঁদের জন্য এ বইটি হবে অত্যন্ত সহায়ক। বইয়ে উল্লেখিত আমলগুলো আপনাকে এমনভাবে গাইড করবে যা আপনার আমলকে করে তুলবে স্থায়ী এবং আমলকে আপনার জীবনে করবে অভ্যস্ত।
মন্তব্যঃ ________
বইটিতে তথ্যগত বা বানানগত কোনো ভুল চোখে পড়ে নি। সার্বিকভাবে অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে বইটি। একটি 'লেখক পরিচিতি' দেওয়া থাকলে আরো ভালো হতো।
"আমি জ্বীন ও মানবজাতিকে একমাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি" [সূরা যারিয়াতঃ ৫৬]
"আল্লাহর নিকট ওই আমল সর্বোত্তম, যা পরিমাণে অল্প কিন্তু স্থায়ী" [সহীহ মুসলিম]
রেটিংঃ ৪.৫/৫ ৯ জুন, ২০২১ সাল। -Ruhan Arif
Read More
Was this review helpful to you?
By Mohammad Ahsan Ullah,
04 Jun 2021
Verified Purchase
মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ দশ মিনিটের আমল (০২)
#Rokomari_Book_Club_Review_Competition
বই পরিচিতঃ
দুনিয়াতে মানুষের সময় নির্ধারিত । তার জীবন একটা নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ । যতটুকু সময় মানুষের জীবনের জন্য নির্ধারিত তার থেকে এক মুহূর্তও হেরফের হবে না । ঠিক সেখানে গিয়েই তার জীবন - ঘড়িটা থমকে দাঁড়াবে । ঠিক সময়ে তার মৃত্যু আসবে । এক সেকেন্ডও এদিক - সেদিক হবে না । মানুষের জীবনটা কেবল তখনই দামি হবে যখন সে তার জীবনকে সঠিক ও নির্ভুলভাবে উপলব্ধি করতে পারবে । বুঝতে পারবে সময় কী ? এবং সে তার জীবনের মহা মূল্যবান সময়কে সঠিক - সুন্দরভাবে ব্যবহার করবে । সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই তােমাকে প্রথমে জানতে হবে , তুমি আসলে সময়টাকে কোথায় ব্যয় করবে ? এবং কীভাবে ব্যয় করবে ? তােমাকে জানতে হবে , সময় ব্যয়ের সঠিক খাত কোনটি ? এবং তা ব্যয়ের পদ্ধতি কী ? তুমি যদি সময় ব্যয়ের সঠিক স্থান এবং সঠিক পদ্ধতি না জানাে তাহলে তা ভিন্ন খাতে , ভুল পথেই প্রবাহিত হবে । আর সেই বিষয়গুলাে নিয়েই শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম এর ‘ মা - যা তাফআলু ফি আশরি দাকাইক নামক কিতাবটি রচিত হয়েছে । আর এই বইটিরই সরল অনুবাদ “ দশ মিনিটের আমল ”
পাঠ্যানুভূতিঃ
আমরা যেন আমাদের জীবনের প্রতিটা সময় এবং প্রতিটা মুহূর্ত রবের আনুগত্যে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ব্যয় করতে পারি সেই লক্ষ্যেই আসলে বইটা রচিত হয়েছে। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাদের এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন । আর তা হলাে আমরা যেন আমাদের জীবনের সেই নির্দিষ্ট সময়টুকু সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ব্যয় করি । অর্থাৎ আমরা আমাদের ইহজগত আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের কাজে ব্যয় করি । বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা পরজগতে আমাদের জান্নাত দান করবেন । কিন্তু আমরা দুনিয়ার বিভিন্ন ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে জীবনের সেই লক্ষ্য থেকে দূরে থাকছি । জীবনের মহা মূল্যবান সময়গুলাে ব্যয় করছি আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের বাইরে । আর এতে আমরা দুনিয়ায় সামান্য লাভবান হলেও আখেরাতের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি পুরােপুরি । তাই আল্লাহর বেধে দেওয়ার সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই যেন নিজের জন্য উওম আমল করতে পারি সে ক্ষেত্রে বইটি আমাকে বেশ কাজে লেগেছে।
বইটি কেন পড়া উচিতঃ
সময়ের অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের সমন্বয়ে গড়ে ওঠেছে আমাদের জীবনের সীমানা । প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে সংকুচিত হতে থাকে হায়াতের জীবন , চরম নির্মমতায় খসে পড়ে জীবনের একেকটি খন্ড । সময়ের অবমূল্যায়ন করে এক সময় আমরা উপনীত হই মৃত্যুর অমােঘ বিধানের দ্বারপ্রান্তে , কিন্তু হিসাবের খাতায় যুক্ত হয় না আশানুরূপ পরকালের মুক্তির রসদ , আমলের শুভ্রতায় উদ্ভাসিত করতে পারি পরকালের ঘাটি । অথচ আমলের স্পৃহা ও সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানাের মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অর্থবহ করে তুলতে পারি , আমলের আলােকচ্ছটায় আলােকিত করতে পারি জীবনের অলিগলি । ' দশ মিনিটের আমল ' বইটিতে এমনই প্রশিদ্ধ কিছু আমলের কথা বিবৃত হয়েছে , যে আমলগুলাে পালন করতে অল্প সময়ের প্রয়ােজন হলেও সাওয়াবের পরিমাণ অনেক বেশি । প্রতিটি আমলের শুদ্ধতা নির্ণয়ের জন্য কুরআন হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ বইটির সৌন্দর্যের অন্যতম দিক । দ্বীনি দাওয়াতের দরদী ভাষায় লিখিত বইটি সময়ের প্রতি উদাসীন , আমলহীন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের সদর দরােজায় করাঘাত করবে ইনশাআল্লাহ।
শেষ কথাঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন- আল্লাহ তাআ'লার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো যা অল্প কিন্তু স্থায়ী।
সময় সদা চলমান। ক্লান্তিহীন ভাবে সময় চলতে থাকে।এক মুহূর্ত সময় ধরে রাখা অসম্ভব। দুনিয়ায় মানুষের জন্য সময় নির্ধারিত। কারো সময় শেষ হয়ে গেলে সে এক মুহূর্তও বেশি-কম পরিবর্তন করতে পারবে না। মানুষের জীবনকে দামী করতে সময়ের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তাই এই সময়কে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং সময় ব্যয়ের সঠিক পদ্ধতি কি, এইসব বিষয়গুলাে নিয়েই শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম রচনা করেন ‘মা-যা তাফআলু ফি আশরি দাকাইক' নামক কিতাবটি। যা 'দশ মিনিটের আমল' নামে বাংলায় সাবলীল ভাবে অনুবাদ করেছেন রাশেদুল হক।
সর্বোত্তম আমল হলাে সেটাই যা অল্প হলেও স্থায়ী হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলাে যা অল্প কিন্তু স্থায়ী ।”(বুখারী-৬৪৬৫, মুসলিম-৭৮৩) ইমাম নববি রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, "এই হাদিসে স্থায়ী এবং দায়েমি আমলের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে, যদিও তা পরিমাণে কম হয়। নিয়মিত অল্প আমল অনিয়মিত বেশি আমলের চেয়ে উত্তম। কারণ অল্প হলেও আমল যদি স্থায়ী এবং ধারাবাহিক হয় তাহলে তােমার আনুগত্যও স্থায়ী এবং ধারাবাহিক হবে। এই ধারাবাহিক অল্প আমলই জমা হতে হতে এক সময় পরিমাণে অনেক হবে এবং তা বিচ্ছিন্ন অনেক আমলের চেয়েও বেশি হবে।"
মানুষ যেন তার দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আনুগত্যে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ব্যয় করতে পারে এবং আমলের ওপর অভ্যস্ত হয়ে যায়, এই লক্ষ্যেই দশ মিনিটকে ভাগ করা হয়েছে যাতে করে মানুষ সহজেই আমলের ওপর অভ্যস্ত হয়ে যায়। জীবনকে মূল্যবান করতে হলে প্রত্যেকটি মুহূর্ত মহান আল্লাহ তাআলার আনুগত্যে ব্যয় করতে হবে। কারণ একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য সকল মত ও পথই হলো ভুল এবং পথভ্রষ্ট। 'দশ মিনিটের আমল' বইটিতে এমন কিছু আমলের কথা আলোচনা করা হয়েছে, যে আমলগুলাে পালন করা সহজ, অল্প সময়ের প্রয়ােজন এবং তাতে সওয়াব বেশি। প্রতিটি আমলের শুদ্ধতা নির্ণয়ের জন্য কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ করায় বইটি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। কোনো ভুল বানান চোখে পড়েনি। চমৎকার অনুবাদ হওয়া এই বইটি সময়ের প্রতি অবহেলা, আমলহীন, অলস প্রতিটি মানুষের মনে নাড়া দেবে সময়কে সঠিক পথে ও সঠিক ভাবে গুরুত্ব দিতে। #TheMSYR
Read More
Was this review helpful to you?
By Muhammad Ashraful,
22 Feb 2021
Verified Purchase
বুক রিভিউ বই: দশ মিনিটের আমল
পাঠ অনুভূতি: সুনানে তিরমিযির হাদিসে এসেছে, 'রাসূল (সাঃ) এর উম্মতের বয়স হলো ষাট থেকে সত্তরের মাঝামাঝি। অল্পসংখ্যক লোকই তা অতিক্রম করতে পারবে।' এ হাদিসের মর্মকথা অনুধাবন করতে পারার জন্য বইটা পড়ার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানুষ যদি জানতে চায় তার জীবনের সবচেয়ে দামী নেয়ামত কোনটি? তবে সময়ের চেয়ে মূল্যবান আর কোনো নেয়ামত খুঁজে পাওয়া যাবে না। সময়ের সঠিক ব্যবহার কারো কবর জীবন জান্নাতের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার সময়ের অপব্যবহার কারো জন্য জাহান্নামের একটা গর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কবরের মানুষ বারবার দুনিয়ায় এসে আমল করে যাওয়ার আকুতি জানায় আর দুনিয়ার মানুষ বেমালুম হাসি ঠাট্টায় সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝতে না পারার মতো বিষয়। পৃথিবীর যত মহাব্যস্ত লোকের কথাই বলুন, দিনে অন্তত দশ মিনিট সময় তার হেলাফেলা করে কাটে অথচ তাকে দশ মিনিট কোনো আমলের কথা বললে কাজের অজুহাত দেখিয়ে কথার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
প্রবাদ আছে সময়ের একফোঁটা অসময়ের দশফোঁটা। শুধু জাহান্নামের মানুষ সময়ের অপচয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করবে তা না, জান্নাতের শীর্ষস্থানে পৌছাতে না পারা জান্নাতিরাও সর্বোচ্চ জান্নাতে পৌঁছাতে না পারাতে হতাশ হবে। আফসোস করবে কেন সময়কে আরো বেশি বেশি নেক আমল দ্বারা কাটালাম না!
আবু বকর রাঃ সময়কে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন সেভাবে আমাদের সময়ের মূল্যায়ন করা জরুরি। দশ মিনিটের আমল বইটা আপনাকে সময়ের মূল্যায়ন বুঝার পাশাপাশি নেকআমল আদায়ের অনেকগুলো পথ বাতলে দিবে। বইয়ের প্রতিটি শিক্ষা আপনার জন্য অশেষ রহমত, বরকত নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।
দশ মিনিটের আমল বইটি সম্পর্কেঃ দশ মিনিটের আমল বইটিতে ভূমিকা,অনুবাদকের কথা,পরিশিষ্ট সহ মোট ৪৭টি পাঠ রয়েছে। কিছু কিছু পাঠের শেষে রয়েছে সুন্দর সুন্দর নির্বাচিত বাণী। এছাড়াও দশ মিনিটের আমল বইটি একটি রেফারেন্স সমৃদ্ধ বই। বইটির আরবী নাম: 'মা-যা তাফআলু ফি আশরি দাকাইক'। বইটি প্রথম প্রকাশ হয়েছে: ২০২০ সালের জুলাই মাসে এবং দ্বিতীয় সংস্করণ (পরিমার্জিত সংস্ককরণ) হয়েছে: ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে। বইটির অনুবাদ সুন্দর সাবলীল এবং ভালোলাগার মতো।
....
বইটি কেন পড়বেনঃ দশ মিনিটের আমল বইটিতে যে আমলগুলোর কথা উল্লেখ রয়েছে, সে আমল গুলো করতে কম সময় লাগলে ও আমলগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এছাড়াও লেখক তার লেখনীর মধ্যে কিছু কিছু পাঠে পাঠকদের জন্য অসাধারণ কিছু নাসিহাহ (উপদেশ) দিয়েছেন। লেখকের অসাধারণ নাসিহাহ (উপদেশ) গুলো পড়লে পাঠকদের উক্ত আমলটি করার প্রতি প্রেরণা জাগতে পারে। তাই বইটি একজন পাঠকের জন্য অসাধারণ একটি বই হতে পারে।
....
বইটির কিছু ভালোলাগা দিকঃ বইটির ভালোলাগা দিকগুলোর একটি হলো বইয়ের সুন্দর প্রচ্ছদ। বইয়ের প্রথম প্রকাশের প্রচ্ছদ থেকে ও বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদ অনেক সুন্দর। এছাড়াও লেখকের সুন্দর সুন্দর নাসিহাহ(উপদেশ), বইয়ের পৃষ্ঠাসজ্জা এবং বইয়ের ফ্রন্ট ভালোলাগার মতো।