জাত শিক্ষক দীনেন্দ্রকুমার রায় বাংলা শেখানোর জন্যে বরোদায় গিয়ে অববিন্দ ঘোষকে (পরে ঋষি অরবিন্দ) বাংলা শিখিয়ে এসেছিলেন। আর বাঙালিকে তিনি দেখিয়ে গেছেন কাকে বলে জাত ডিটেকটিভ লিখিয়ে। এক রহস্যলহরী সিরিজে যিনি ২১৮খানা বই লিখতে পারেন, নন্দন কানন সিরিজে গল্পে পাঠককে বুঁদ করে রাখতে পারেন, রবার্ট ব্লেক যে শার্লট্স্ হোমের মাসতুতো ভাই তা পাঠককে বুঝিয়ে দিয়ে পুরো একটা যুগ বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যকে শাসন করে গেছেন। গিন্নির উনুনে রান্না পুড়ে যাবে, অফিস যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে ভুলে যাবেন, ডাক্তার রোগীর ডান হাতের বদলে বাঁ হাত কেটে ফেলবেন—তবুও দীনেন্দ্রকুমারের রোমাঞ্চকারী উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠাটি পর্যন্ত না পড়ে উঠতে পারবেন না। কতকগুলো পাসে গোয়েন্দা উপন্যাসের পাল্লায় দীনেন্দ্রকুমারকে আমরা ভুলে যাচ্ছিলাম। আবার করে তাঁকে তাঁর বমালসমেত আপনাদের কাছে হাজির করে দিলাম। বাঙালির মগজে যে একটু ময়লা জমেছিল সেটা আবার কবে সাফ করে নেবার আয়োজনে বাঙালি যে জেগে উঠবে আবার তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভাষায় শিরশিরিয়ে ওঠা কাহিনি পড়ে-আমরা তামা-তুলসী-গঙ্গাজল নিয়ে হলফ করে বলতে পারি।