"আমার ঘুম আমার ইবাদত" বইটির 'লেখকের কথা' অংশ থেকে নেয়াঃ “আমি জিন এবং মানুষকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্যই৷” পৃথিবীতে আমাদের অবস্থান খুবই সামান্য সময়ের জন্য এবং আমাদেরকে এখানে পাঠানাে হয়েছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে: আল্লাহ তায়ালার ইবাদত। এমন নয় যে, আমাকে প্রদত্ত জীবনের কিছু অংশ ইবাদতের জন্য আর কিছু অংশ ব্যয়িত হবে অন্য কাজে৷ বরং আমার সৃষ্টিই হয়েছে যেন আমি ইবাদত করি। যেন আমি নিরত ব্যাপৃত থাকি আমার সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে; তার সপ্রশংস তাসবিহ পাঠে৷ তা হলে জীবনযাপনের স্বাভাবিক কাজগুলাে কি আমি করবাে না! এখানেই পার্থক্য একজন মুমিনের সাথে একজন অ-মুমিনের। মুমিন যাপিত জীবনের সব কাজই করবে৷ সে ঘুমােবে, সে জাগ্রত হবে ঘুম থেকে, সে বাজারে যাবে, সে রােজ অফিস। করবে নয়টা-পাঁচটা৷ অন্যদের মতােই জীবনের নানাবিধ কর্মযজ্ঞে শামিল হবে সে৷ কিন্তু পার্থক্য হলাে— মুমিন যাপিত জীবনের কোনাে এক ফাঁকে ইবাদত করবে এমন নয়; বরং তার জীবনযাপনটাই হবে ইবাদত৷ তার ঘুম, তার জাগরণ। তার মৃত্যু, তার বেঁচে থাকা— সবই হবে ইবাদত৷ আর এটা তখনই হবে যখন মুমিনের দিনযাপন হবে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশমতাে৷ কীভাবে মুমিনের ঘুম ইবাদত হবে! ঘুম থেকে জাগরণ কীভাবে হতে পারে তার নাজাতের মাধ্যম— এসব নিয়েই কিছু আলােচনা করবার চেষ্টা করেছি ‘আমার ঘুম আমার ইবাদত’ বইটিতে৷
আহমাদ সাব্বির এই সময়ের তরুণ লেখক। তার জন্ম ১৯৯৬ সালে ১৪ জুলাই এবং জন্মভূমি মাগুরা সদরের হাওড় গ্রামে। পাইকগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে আসেন খুলনায়। খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা থেকে তিনি কুরআনে হাফেজ হন। স্বপ্ন-বিভোর কিশোর অবুঝ সম্মোহনে চলে আসেন যাদুর শহর ঢাকায়, বুঝে ফেলেন জীবন, প্রেম, প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের রহস্য। অবশেষে গল্পের পথ ধরেন। পড়ালেখাও চলতে থাকে সমান তালে। ধর্মীয় শিক্ষার সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করতে করতে ক্লাসিক সাহিত্যের পাঠও সেরে নেন। অল্পবয়সেই কথাশিল্পের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এরই মধ্যে দু-দুটি মৌলিক বই লিখে শেষ করেছেন।