বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও অবশ্যপাঠ্য এক বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়কের নাম। তার অনুপম দেশপ্রেমের জন্য বঙ্গবাসী তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য-নেতৃত্ব প্রদর্শন করে পূর্ববাংলা’ স্বাধীন করেছিলেন বলেই তার আরেক পরিচয়—স্বাধীনতার স্থপতি। বাংলাদেশ’ তাঁরই কর্ম, প্রজ্ঞা ও সংগ্রাম-ঔরসজাত, তাই তিনি বাঙালির জাতির পিতা’। শেখ মুজিব প্রকৃত অর্থেই বাঙালি জাতির ‘ত্রাতা। এ জাতির আদর্শ পথপ্রদর্শক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্য মানবিক গুণাবলি নিয়েই বাঙালি জাতির কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চিন্তার পাশাপাশি তিনি ধর্মচিন্তায়ও ব্যাপৃত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বেশ কিছু ভাষণেই ধর্মের প্রসঙ্গ এনে তিনি তাঁর নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। একজন সত্যিকার ধার্মিক রাজার যে প্রতিকৃতি আমরা পুরাণে এবং প্লেটোর রিপাবলিকে’ পাই—বঙ্গবন্ধু তেমনই ছিলেন। ড. মোহাম্মদ আমীন একজন সচেতন, মননশীল লেখক। তার গবেষণার পদ্ধতি পাঠকের চিত্ত আকর্ষণে সক্ষম। তিনি বঙ্গবন্ধুর ধর্মীয় চিন্তা ভাবনা নিয়ে একটি মূল্যবান গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন। তিনটি গ্রন্থের একত্রিত রূপই হলো বঙ্গবন্ধুর ধর্মচিন্তা’। গ্রন্থটিতে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও ধর্মচিন্তক বঙ্গবন্ধুর পরিপূর্ণ অবয়ব ধারণ করেছে ।
শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)-এর প্রতিষ্ঠাতা । ড. মােহাম্মদ আমীন ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার চন্দনাইশ গ্রামে। জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম নুরুল ইসলাম, মাতার নাম সকিনা বেগম। পিতামহ মৌলানা গােলাম শরীফ বড়াে হুজুর নামে খ্যাত। বাড়ির পাশে অবস্থিত। দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ড. মােহাম্মদ আমীনের আনুষ্ঠানিক অধ্যয়নের সূচনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগে। বিএসসি (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। | আমেরিকা থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি। বাংলা বানান গবেষণায় তিনি অন্যতম একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা বানান ও বাংলা ভাষা নিয়ে এ পর্যন্ত রচিত তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা। ত্রিশ । উপন্যাস, রম্যরচনা, ছােটোগল্প, প্রবন্ধ, রূপকথা, শিশুতােষ সাহিত্য, সাইন্স ফিকশন, জীবনী, ইতিহাস, আইন, বাংলা বানান, গবেষণা প্রভৃতি তার লেখালেখির ক্ষেত্র। নানা বিষয়ে তাঁর লেখা। গ্রন্থসংখ্যা ১৪০। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। লেখালেখি ছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান বিষয়ে শিক্ষাদান করে থাকেন। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া, অন্টারিও, কানাডায় ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্বরত আছেন।