সুগুতের ছোট্ট জায়গিরটুকু একদিন হয়ে উঠল একটি সাম্রাজ্যের বীজতলা। অনেক কষ্টেও না-মনে-পড়া বিস্মৃত বা অখ্যাত কোনো সাম্রাজ্য নয়, এর স্থায়িত্বের শেকড় পোঁতা থাকবে ছয়শ বছরেরও অধিক সময়ের গভীরে! এক বিচক্ষণ ও দরদি নেতা স্বগোত্রের যাযাবর-জীবনে—তাঁবু স্থাপন আর তাঁবু গুটিয়ে অন্য আশ্রয় খোঁজার মধ্যে—দেখলেন, একটি স্থায়ী বসতির আকাঙ্ক্ষা-বেদনায় কতটা উদগ্র ও ব্যাকুল হয়ে থাকে তারা। কিন্তু পৃথিবী জুড়ে তখন মোঙ্গলদের ত্রাস! মধ্য-এশিয়াও উথালপাতাল করে ফেলছে ওরা। ওদের ঠেকাবে, কারও সে সাধ্য নেই। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, পুরো পৃথিবী থেকে মুসলিমদের নাম-নিশানা মুছে যাবে; হারিয়ে যাবে খেলাফত। তখনই তিনি এলেন আনাতোলিয়ায়। পুঁতলেন—শুধু স্বগোত্রের ঠাঁই-ই নয়, খেলাফতরক্ষাকারী নতুন খেলাফত-ব্যবস্থার বীজও... ভাবা যায়, খেলাফত-ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার আরও ছয়শ বছর আগেই বিলুপ্ত হতে পারত খেলাফত! কে রুখে দিলেন সেই অশনিসম্পাত? কে সেলজুকদের ধুঁকে-ধুঁকে-চলা সাম্রাজ্যের রাশ টেনে ধরলেন? মুসলিম সাম্রাজ্যের সীমান্তরক্ষার বরকতময় দায়িত্ব থেকে কার প্রাণনায় পত্তন হলো উসমানি সাম্রাজ্যের? একজন বলিষ্ঠ নেতার ভূমিকায় জাতির জীবনের গতিপথ বদলে যায়। যাযাবরও বেছে নেয় রাজকীয় অভিমুখ। উসমানি সাম্রাজ্যের স্বপ্নদ্রষ্টা আরতুগরুল গাজি সেই মহান নেতা! তারই জীবনের শ্বাসরুদ্ধকর আয়োজনে বিধৃত এই বই—তাকে নিয়ে বাংলা-ভাষার প্রথম প্রকাশনা।
জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙা, সিলেট এবং দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্ব্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি আল-হাইআতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিস তথা সমমান মাস্টার্স এর পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ২৮ নং স্থান অর্জন করেছেন। এ ছাড়াও আল-জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রামের উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি জামিআ ফারুকিয়া কওমিয়া সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জে শাইখুল হাদিস হিসেবে অধ্যাপনা করছেন।