একজন পথিক যখন কোনো দীর্ঘ সফরে বের হন- তার সেই সফর যতো রোমাঞ্চকর কিংবা বহুল প্রতীক্ষিত অথবা দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত-ই হোক না কেনো- তার মনে তখন অবশ্যই বিচিত্র সব অনুভূতি দানা বাঁধতে থাকে। দেশ ও আত্মীয়-স্বজনের বিচ্ছেদ, তাদের মঙ্গল ও সুস্থতার চিন্তা, নিজের যাত্রাপথের বিভিন্ন স্থানের ভাবনা, গন্তব্যের দূরত্বের অনুভূতি, নতুন পরিবেশ ও নতুন দেশ সম্পর্কে আগাম ভাবনা ও দুশ্চিন্তা, সার্বিক কল্যাণ ও শান্তিতে ঘরে ফিরে আসা ও ঘরের সদস্যদেরকে সুস্থাবস্থায় ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা-মোটকথা, কতো বিচিত্র ভাবনা ও অনুভূতি হয়ে থাকে। এ ধরনের দোলাচালের ভেতর দিয়েই ঘরের বাইরে পা ফেলতে হয়।
এ রূপ নানা চিন্তা ও ভাবনার ভিড়ে যে বিষয়টি সবসময় আমাকে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে যায়; সে বিষয়টিকে সফরনামার.....
প্রধান সূচিপত্র * দজলা-ফোরাতের তীরে * মিশর ও আলজেরিয়ায় কয়েক দিন * ওহুদ থেকে কাসিয়ুন প্রধান সূচিপত্র * তুর্কিস্তান ভ্রমণ : সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহর শহরে * দ্বীপের দেশে * বাংলাদেশে কয়েক দিন * কাতার সিরাত সম্মেলন * চীন ভ্রমণ * ভারত সফর * দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি সফর * পাশ্চাত্য জগতে তি সপ্তাহ বিগত প্রায় বিশ বছর যাবৎ আমি একটি বৃস্তচ্যূত পাতার মতো বিরামহীনভারে ভ্রমণ করে চলেছি। এই সময়ে আমি কতো যে দেশ আর কতো যে শহর চষে বেড়িয়েছি তার কোনো হিসেব নেই। এর মধ্যে যেসব ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য তথ্যসমৃদ্ধ বা যেসব ভ্রমণের ফলে ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্যের হারিয়ে যাওয়া অনেক অধ্যায় খুঁজে পেয়েছি তার বিবরণ আমি ভ্রমণকাহিনি হিসেবে লিখে আসছি ......
প্রধান সূচিপত্র * স্পেনে কয়েক দিন * ব্রুনেই সফর * তুরস্কে কয়েকদিন * পাশ্চাত্যে দুই সপ্তাহ * রিইউনিয়ন দ্বীপে * দক্ষিণ আফ্রিকায় * দক্ষিণ আফ্রিকায় মুসলমান * সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহর শহরে * বিশ্ব-পরিভ্রমণ * অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক দিন * মালয়েশিয়ায় কয়েকদিন * হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণ * এক সপ্তাহ : আয়ারল্যান্ড ও অক্সফোর্ডে * ইয়ামেনের সানআ নগরীতে * মধ্যরাতের সূর্য : পৃথিবীর উত্তর প্রান্তে একটি ভ্রমণ * জার্মানি ও ইতালিতে ভ্রমণ
প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী শুধু ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে বই রচনা করেননি, তিনি একাধারে ইসলামি ফিকহ, হাদীস, তাসাউফ ও ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। আর তা-ই নয়, তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতে, এমনকি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চেরও বিচারক পদে আসীন ছিলেন। মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে এবং এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামি নানা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা নিয়েছেন। তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখান থেকে অর্থনীতি, আইনশাস্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন। আর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি। দারুল উলুম করাচি থেকে পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়ার উপর। সর্বোচ্চ স্তরের দাওয়া হাদিসের শিক্ষাও তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়, যেমন- ফিকহ, ইসলামি অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানে 'মিজান ব্যাংক' নামক ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলামি অর্থনীতির প্রসারে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য বইও। তকী উসমানীর বই এর সংখ্যা ৬০ এর অধিক। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমূহ রচিত হয়েছে ইংরেজি, আরবি ও উর্দু ভাষায়। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'Easy Good Deeds', 'Spiritual Discourses', 'What is Christianity?', 'Radiant Prayers' ইত্যাদি ইংরেজি বই, ও 'তাবসেরে', 'দুনিয়া মেরে আগে', 'আসান নেকিয়া' ইত্যাদি উর্দু বই উল্লেখযোগ্য। এসকল বই ইসলাম প্রসারে, এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাখ্যা প্রদান ও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।