"টয়লার্স অব দ্য সী - হাঞ্চব্যাক অব নটরডাম - লা মিজারেবল" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা টয়লার্স অফ দ্য সি টয়লার্স অফ দ্য সি নেপােলিয়ান যুদ্ধের অল্প কিছু দিন পর লেখা হয়। কাহিনিটি গেরনসি দ্বীপের অধিবাসী এক যুবককে নিয়ে, যার নাম গিলিয়াত। যে তারই প্রতিবেশী অপরূপা দেরুশেতের প্রেমে পড়ে যে স্থানীয় জাহাজ মালিক মেসলিদেরির ভাইঝি। যখন মেসলিদেরির জাহাজ লাইট হাউসে আটকা পড়ে তখন দেরুশেত ঘােষণা দেয় যে সাহসী পুরুষ জাহাজের স্টিম ইঞ্জিন জাহাজ থেকে উদ্ধার করতে পারবে, তাকেই সে বিয়ে করবে। কিন্তু একের পর এক নানা ঘটনার মুখােমুখি হয় গিলিয়াত, তবুও তার কৌতূহলের শেষ নেই।... তবু তার ভালবাসা তাকে অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তি দান করে। তীব্র ঝড় এবং বন্য জলোচ্ছ্বাস সমুদ্রকে কাটিয়ে ওঠার জন্য জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করেও তাঁর বাসনার নিবৃত্তি ঘটাতে চায়...কিন্তু সে কি পারবে শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে?... হাঞ্চব্যাক অফ নটরডাম নডরডেমের হাঞ্চব্যাক হিসাবে পরিচিত, অন্ধকার আবেগ এবং অনৰ্থিত প্রেমের ভিক্টর হুগাের ঐতিহাসিক কালজয়ী রােমান্টিক উপন্যাস হাঞ্চব্যাক অফ নটরডাম। নটরডেমের হাঞ্চব্যাক ১৫তম শতাব্দীতে স্থাপিত প্যারিসের সবচাইতে আঁকজমকপূর্ণ ও আকর্ষণীয় গির্জা হিসেবে পরিচিত। এই নটরডেমকে কেন্দ্র করেই ভিক্টর হুগাে তাঁর কালজয়ী ঐতিহাসিক গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন। উপন্যাসের গল্প শুরু হয় নডরডেম ক্যাথেড্রালের বিকৃত বেল রিংগার কাসিমােডাে এবং সুন্দরী নৃত্যশিল্পী এস্মেরেলদার প্রতি তার অপ্রতিরোধ্য প্রেম ও পারিপার্শ্বিক নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। লা মিজারেবল উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ফরাসি সমাজের শিকারদের একটি আকর্ষণ ও নানা ঘটনার সমাহার লা মিজারেবল। এটি মহাকাব্য স্কেলে একটি কালজয়ী উপন্যাস। ১৮৬২ সালে প্রকাশিত বইটিকে ১৯শ শতাব্দীর অন্যতম সেরা উপন্যাস হিসেবে ধরা হয়। এই বইয়ের কাহিনি জুন বিপ্লবের পটভূমিতে লেখা। একজন প্রাক্তন কয়েদি জাঁ ভালজার জেল জীবন ও মুক্তি এবং আরও কয়েকটি চরিত্রের জীবন সংগ্রাম নিয়ে আবর্তিত। দরিদ্র ও নিপীড়িতদের পক্ষে একটি অনুশাসনমূলক কাজ হিসেবে লা মিজারেবলের বিশাল সাফল্য বয়ে আনে। তার কাব্যিক ও পৌরাণিক-মানব-প্রকৃতির দৃষ্টিভঙ্গি চমৎকারভাবে রূপায়িত হয়েছে সমগ্র উপন্যাসের ভেতর দিয়ে।
Title
টয়লার্স অব দ্য সী - হাঞ্চব্যাক অব নটরডাম - লা মিজারেবল
ভিক্টর মারি হুগো ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮০২ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহন করেন। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিশাল সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার সন্তান ছিলেন তিনি। একাধারে সাহিত্য এবং রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ফ্রান্সে সা¤্রাজ্য আইন থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তিত হওয়া এবং সেই প্রক্রিয়ার নানান উত্থান-পতনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিসে বসবাসরত ভিক্টর হুগো তরুণ বয়সেই তার কবিতা, কল্পকাহিনি এবং নাটকের জন্য বিখ্যাত এবং কখনো কুখ্যাতও হয়েছিলেন। ১৮৪৫ সালে, তার বিখ্যাত গ্রন্থ লা মিজারেবল লেখার সময়, রাজা তাকে ফ্রান্সের উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেন। আইনসভার সর্বোচ্চ দলের সঙ্গে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়। তিনি সেখানে সবার জন্য বিনা খরচে লেখাপড়া, সার্বজনীন ভোটাধিকার এবং মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তির ব্যাপারে কাজ করা শুরু করেন। ১৮৪৮ সালে যখন রাজ্যে উন্নতির জোয়ার স্পষ্টভাবে কড়া নাড়ছিল, তিনি লা মিজারেবল লেখা বন্ধ করে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু ১৮৫১ সালে যখন দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন, হুগোর রাজনৈতিক চেতনার বিরোধিরা তাকে বৃটিশ চ্যানেলের একটি দ্বীপে নির্বাসনে বাধ্য করে। নির্বাসনে থেকেই ১৮৬০ সালে তিনি আবার লা মিজারেবল লেখার কাজে হাত দেন এবং পরের বছর উপন্যাসটি শেষ করেন। ১৮৭০ সালে সম্রাটের পতন হলে হুগো ফ্রান্সে ফেরত আসেন, যেখানে তাকে গণতন্ত্রের মানসপূত্র হিসেবে বিপুলভাবে সম্মানিত করা হয়। ২২ মে ১৮৮৫ সালে ভিক্টর হুগোর মৃত্যুর পরে ফ্রান্সের রাস্তায় তার কফিন বয়ে নেবার সময়ে বিশ লাখ মানুষের ঢল নামে। সেদিন ফ্রান্সের জনগণ যতভাবে সম্মান জানানো সম্ভব, জানিয়ে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।