রাজশাহীর পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে নক্ষত্র পুরুষ উপন্যাসের কাহিনী রচিত। উপন্যাসের মূল চরিত্র দুর্জয় দেশের প্রথম শ্রেণির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক। পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। এর ফলে নদীতে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বসতভিটা হারিয়ে নিস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। প্রভাবশালী মহল অবৈধ উত্তোলিত বালু বিক্রি করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এই নদীকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। জেলেরা মাছ ধরে, নৌকা চালায়, নদীর দুই তীরে জেগে ওঠা জমিতে ফসল চাষ করে জীবিকার পথ সুগম হয়। অপরিকল্পিতভাব অবৈধ বালু উত্তোলনে নদী ভাঙনের শিকার হয়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে জীবন জীবিকা। শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বাঁধের ভাঙন দেখা দিলে শহরটি অদূরভবিষ্যতে বর্ষায় কিংবা বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য দুর্জয় পত্রিকায় নিউজ করে বেশ কয়েকবার। এই সংবাদ প্রকাশের জন্য তাকে চারদিক থেকে প্রতিরোধের শিকার হতে হয়। এ ঘটনাকে উপজীব্য করে দুর্জয়ের প্রেমিকা হৃদিতা, দুই বোন, পত্রিকার আলোকচিত্র শিল্পী বিভাস এবং বন্ধু রুবেলের সাথে পারস্পরিক প্রেম, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কাহিনী এগিয়ে চলে। নদীর বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক দুর্জয়ের এটি রহস্যঘেরা মর্মস্পর্শী উপন্যাস নক্ষত্র পুরুষ।