"অতিমানবী" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা পাঁচ বছরের কন্যা অরিত্রিকে নিয়ে ভালােই চলছিল জাভেদ আর অদিতির সংসার । কিন্তু এক মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে নতুন এক বাস্তবতার মুখােমুখি দাঁড়ায় জাভেদ। অদিতিকে বিছানায় খুঁজে পাওয়া যায় না। হঠাৎ শোনা যায় অন্ধকার ঘরে অদিতি কারাে সঙ্গে কথােপকথনে মেতে উঠেছে। মনে হয় অদিতি কোনাে অশরীরী আত্মার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছে। আর তার চূড়ান্ত আর্জি মৃত রাকেশকে জীবিত করে তােলা । জাভেদ প্রথমে বুঝতে পারে না কে এই রাকেশ, আর অদিতি কেনই-বা তাকে জীবিত দেখতে চায়? অদিতির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী প্রতীতির কাছ থেকে জানা যায়, অদিতির বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রেমিক ছিল রাকেশ। কিন্তু অনার্স থার্ড ইয়ারে উঠে রাকেশ ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করে। পরে জানা যায়, রাকেশ এক অসম্ভবের সাধনায় নিমগ্ন ছিল। কিন্তু করুণভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। রাকেশের মৃত্যু কোনােভাবেই মেনে নিতে পারে নি অদিতি। যে অসম্ভবের সাধনায় রাকেশ ব্যর্থ হয়েছিল, অদিতি তাকে সফল করে তােলার উন্মাদনায় আত্মনিবেদন করে। হয়ে উঠতে চায় অতিমানবী। প্যারাসাইকোলজি ঘরানার মনে হলেও উপন্যাসটিতে প্রাধান্য পেয়েছে রুদ্ধশ্বাস এক মনােভ্রমণ। বাহ্যিক ঘটনাপ্রবাহকে ছাপিয়ে মনােজাগতিক উত্থান-পতন চরিত্রের রূপায়ণে ভিন্নমাত্রা যােগ করেছে। প্রাণবন্ত সংলাপ, ভাষিক উৎকর্ষ ও কাহিনি বর্ণনার অভিনবত্বে উপন্যাসটি অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।
কবি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আহমেদ বাসার এর জন্ম ৪ জুন ১৯৮২ সালে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে। পিতা আবদুল হাই ও মাতা আসমা খাতুন। সহধর্মিণী সানজিদা আক্তার ইমু। দুই কন্যা ওয়াসিয়া তাজনূর বারিষা ও ওয়াসফিয়া নাজরীন এষা। বিজবাগ এন. এ কলেজ থেকে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়য়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে গবেষণা করে এম,ফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন ২০১২ সালে। রাজউক ইত্তরা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। ছোটবেলা তেকেই লেখালিখির সূচনা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক, সাহিত্যপত্র ও ছোটকাগজে নিয়মিত লেখেন। প্রকাশিত গ্রন্থ দশটি।