"জীবনের রোডম্যাপ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: মানুষের ক্ষুদ্র জীবনে কতাে কিছু করার আছে। জন্মের পর থেকেই মানুষ একটা বিস্ময়কর পথে হাঁটতে থাকে। জীবন যেন একটা ঘােরলাগা পথ। কেউকেউ সেই ঘাের থেকেই কিছুতেই বের হতে পারে না। একটা জীবন শেষ হয়ে যায়। তবুও মানুষ নিজেকে চিনে না। অনেক মানুষ নিজে জানেও না যে, তার জীবনে অনেক কিছু করার ছিল, করার আছে। একটা ভালাে কিছু রেখে যাবার দায়ও থাকে না অনেকের মাঝে। আপনি যাইই করেন না কেন, জীবনে আসলে নিজেকে আবিষ্কার করার মতাে সাফল্য আর কোনােকিছুতে নেই। মানুষ কিভাবে সফল হতে পারে, কিভাবে সামনে যেতে পারে, এসব চিন্তা আমার মাথায় সবসময় ঘুরপাক খায়। আমাদের অনেকেরই জীবন নিয়ে কোনাে পরিকল্পনা থাকে না। অনেকের যা থাকে, তা আসলে একটা ইচ্ছা। ইচ্ছা আর পরিকল্পনা এক জিনিস নয়। শুধু ইচ্ছা দিয়ে কোনাে কিছু জয় করা যায় না। মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। সেই বড় কাজটি করতে গেলে প্রয়ােজন বড় কিছু। চিন্তার পরিবর্তন দরকার। ইতিবাচক অভ্যাসের দরকার। মানুষ একদিনে তার জীবনের ধারা বদলে ফেলতে পারে না। হুট করে জয় আনতে পারে না। তাহলে কী সেই পথ, কী সেই মন্ত্র যা জানলে আমরা একটা অলৌকিক ভােরের আশা করতে পারি। নিজে হাসতে পারি, অন্যকেও হাসাতে পারি। আগামীর জন্য দারুণ কিছু রেখে যেতে পারি। আমাদের সমস্যার অন্ত নেই। জীবনে সমস্যা থাকবেই। এর ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সামনে। আমাদের জীবন আ বেড অফ রােজেজ না। আমাদের পথে হাজারাে বাধা। আমাদের হাজারাে দায়িত্ব। হাজারাে কাজের ভেতরে আমরা সামনে এগুতে চাই। সাফল্য পেতে চাই। এই বইটির আসল উদ্দেশ্য হলাে জীবনকে সুন্দর করে উপভােগ করা। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে এটা মগজের ভেতরে প্রােথিত করা যে আ বিউটিফুল লাইফ ইজ ডিউটিফুল।
লেখার আলো জ্বেলে তিনি নানান ঢঙে পাঠকদের নিয়ে যান জীবনের চৌকাঠে। শোনান হরেক রকম গল্প। তিনি স্বপ্নবাজ এক তরুণ। তাঁর লেখার বৈচিত্র্যের কারণে এরই মধ্যে তিনি পাঠকনন্দিত হয়েছেন। ধূপছায়া গল্পগ্রন্থের জন্য তিনি ২০১৬ সালে তরুণ শাখায় পেয়েছেন দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার। আলোর পথে তাঁর নিরন্তর ছুটে চলা। তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। মানুষের কথা বলতে ও লিখতে আনন্দ পান। পছন্দ করেন ঘুরতে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে তার ঢের আগ্রহ। ঘুরেছেন বারোটি দেশ। জীবনের গ্লানি মুছে মানুষকে স্বপ্নের গল্প শোনানো তাঁর নেশা। তিনি এপর্যন্ত পনরোটি বই লিখেছেন। গল্প, উপন্যাস,কবিতা, শিশুসাহিত্য আর অনুবাদে তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর উপন্যাস মহাদেশ-মহাকাল পাঠকদেরকে দিয়েছে ভিন্ন কন্টেন্টের সান্নিধ্য। শুধু লেখালেখি নয়, তিনি বেশ সফল তাঁর পেশাজীবনেও। বস্ত্রপ্রকৌশলের ওপর তিনি স্নাতকোত্তর করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিষয়ে স্নাতক করেছেন পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে। একমাত্র ছেলে সাজিদ আর স্ত্রী পুষ্টিবিদ তামান্নাকে নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। নিয়মিত লেখে যাচ্ছেন বিভিন্ন জাতীয় ও সাহিত্য পত্রিকায়।