কেমন_মেয়ে_বিয়ে_করবেন? প্রিয় ভাই! জীবন-সাথী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ৷ একজন নেককার মেয়ে একজন যুবকের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান উপহার৷ একজন পবিত্র স্ত্রী আপনার জীবনকে সৌভাগ্য ও কল্যাণে ভরে দেবে৷ নেককার মেয়েকে জীবন-সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা চাই৷ সহিহ মুসলিমে এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন— 'দুনিয়ার সবকিছুই উপভোগ-উপকরণ আর দুনিয়ার সর্বোত্তম উপভোগ-উপকরণ হলো পুণ্যবতী স্ত্রী৷’ প্রিয় ভাই! আপনি এমন একজন জীবন-সাথী নির্বাচন করছেন, যে সুখে-দুখে আপনার সঙ্গে থাকবে; মৃত্যু পর্যন্ত আপনার সান্নিধ্যে থাকবে; আপনার সন্তানদের মা হবে; আপনার বংশের আমানতদার হবে৷ তাই স্ত্রী হিসেবে আপনি কাকে বাছাই করবেন এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়৷ আজকাল নারীদের বেপর্দা চালচলন, বেহায়াপনা-অশ্লীলতা এতই বেড়ে গেছে যে, উপযুক্ত মেয়ে খুজে বের করা বড়ই মুশকিল৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কথা ভাবতেই বুক শিউরে ওঠে৷ মেয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই আমাদের আদর্শ৷ কীসে আমাদের কল্যাণ এই ব্যাপারে তাঁর নির্দেশনাই আমাদের জন্য চূড়ান্ত৷ সহিহ বুখারিতে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন—br ‘চারটি বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ রেখে মেয়েদের বিয়ে করা হয় : সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও দীনদারি; তুমি দীনদারীকে প্রাধান্য দাও; নতুবা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷’ প্রিয় ভাই! চারটি বৈশিষ্ট্যের মাঝে দীনদারি প্রাধান্য পাবে; দীনদারিকে আসল ধরে বাকিগুলো যতটুকু সম্ভব বিবেচনায় রাখতে হবে৷ এমন যেন না হয়, বাকি সব আছে; কিন্তু দীনদারি নেই! একজন বদকার নারী আপনার জীবনের জন্য মূর্তিমান এক অভিশাপ! দাম্পত্য জীবনে যদি আগুন লাগাতে না চান তাহলে বদকার নারী বিয়ে করা থেকে বেঁচে থাকুন৷ সে নিজের ক্ষতি তো করেই সন্তানরাও তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না৷ আপনার জীবন আর সন্তানদের জীবন দুটোই ধ্বংস হবে৷ আপনার অনাগত সন্তানদের জন্য একজন পবিত্র মায়ের ব্যবস্থা করা আপনার ওপর সন্তানদের হক৷ নেককার স্ত্রী স্বামীর জন্য সর্বক্ষণ দোয়া করে৷ সালাতের পর সে দুই হাত তুলে স্বামীর মঙ্গলের জন্য আল্লাহর দরবারে মিনতি করে৷ স্বয়নে-জাগরণে স্বামীর কল্যাণ কামনাই হয়ে ওঠে তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ প্রতিটি ইহসানের জন্য সে স্বামীর প্রশংসা করে, শুকরিয়া আদায় করে, স্বামীর প্রতি সে বিশ্বস্ত থাকে৷ আর বদকার স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হয়৷ বদকার স্ত্রীর কারণে সংসারের বরকত চলে যায়; সবসময় অশান্তি লেগেই থাকে৷ সন্তান জন্মদান, তাদের প্রতিপালন এবং যথোপযুক্ত তারবিয়তের মাধ্যমে তাদেরকে দীনের দাঈ ও সাহায্যকারী হিসেবে গড়ে তোলার ফজিলত অপরিসীম; আর এজন্য নেককার স্ত্রীর বিকল্প নেই৷ সুনানে আবু দাউদে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা অধিক সন্তান জন্মদানকারী প্রেমময় নারীদের বিয়ে করো; কেননা কেয়ামতের দিন তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমি অন্যান্য জাতির সাথে গর্ব করব৷’ নেককার স্ত্রী স্বামীর পাশে থাকে৷ বিপদে দুর্যোগে সংকটে স্বামীকে ত্যাগ করে না৷ পুণ্যবতী নারীদের আত্মত্যাগের অগণিত দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের পরোতে পরোতে৷br প্রিয় ভাই! নেককার স্ত্রী স্বামীকে আল্লাহর বন্দেগিতে সাহায্য করে; ফলে দয়াময় প্রভুর আনুগত্য তার জন্য সহজ হয়ে ওঠে৷ ইবাদাতে আপনার প্রিয়তমাই হবে আপনার একান্ত সহযোগী—এরচেয়ে খুশির কথা আর কী হতে পারে? অনেক যুবক তো এমন আছে, যারা নেককার স্ত্রীর হাত ধরেই দীনের পথে ফিরে এসেছে৷ আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম ভাইকে জীবন-সাথী হিসেবে নেককার মেয়ে মিলিয়ে দিন৷ সবার জীবনকে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে দিন৷ আমিন, ইয়া রব্বাল আলামিন!