আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, পুনরুত্থান সত্য, কিয়ামত সত্য, সিরাত( পুলসিরাত) সত্য, হিসাব-নিকাশ সত্য, এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা কিছু বলেছেন, তার সবকিছুই সত্য। সবচেয়ে বড় সত্য কথা হলো আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম হেদায়েত হ্যালো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হেদায়েত;আর নিকৃষ্ট হল দিনের মাঝে নতুন উদ্ভাবিত বিষয় ;আর প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবনী হল বিদ'আত এবং প্রতিটি বিদ-আতই গুমরাহি, আর প্রত্যেক গুমরাহি স্থান হবে জাহান্নামে। জান্নাত ও তার মধ্যকার নিয়ামত বিষয়ে পরিবেশন করার বিষয়টি অদৃশ্য জগতের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত, আর গায়েবি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা খাঁটি ইসলামী আকীদার অন্তর্ভুক্ত বিষয়; সুতরাং এই ব্যাপারে কিভাবে শৈথিল্য প্রদর্শন বা অবহেলা করা যাবে না।যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদিসের কিতাব সমূহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ও গবেষণায় ব্যস্ত থাকবে, সে বিশুদ্ধ হাদিস সমূহ এর মধ্যেই এমন সব কাঙ্ক্ষিত বিষয় ও বস্তূ পেয়ে যাবে, যা সর্বপ্রকার দুর্বল হাদিস থেকে তাকে প্রয়োজন মুক্ত করবে। আরে থেকেই জান্নাতের বর্ণনা প্রসঙ্গে "জান্নাতের বয়ান" নামক বইটি প্রকাশন করা হয়েছে।
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।