এ এক অন্য দুনিয়ার গল্প। যে দুনিয়া আপনার চেনা দুনিয়া থেকে অনেকটাই আলাদা, আবার অনেক কিছু একই রকম। এ দুনিয়ায় মাটি থেকে অনেকটা উচ্চতায় বাতাসে ভেসে বেড়ায় কিছু ভাসমান ভূখণ্ড। এখানে গল্পের শুরু, যখন সেরকমই একটা ভূখণ্ড বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে সমুদ্রের বুকে অবস্থিত মান্দুব নামের একলা একটা দ্বীপের ওপর এসে ভেড়ে; আর সেই ভূখণ্ড থেকে নেমে আসতে শুরু করে বৃহৎ আকারের ভয়াল দর্শন কিছু পোকা। যাদেরকে দ্বীপবাসী নাম দেয় আসমানের পোকা। এই আসমানের পোকাগুলো কয়েকদিন অন্তর অন্তর একজন-দুজন করে তুলে নিয়ে যেতে থাকে দ্বীপবাসীকে, যাদের আর পরে খোঁজ মেলে না। ইব্রার, যে কিনা এই দ্বীপবাসীদেরই একজন, সকলের দিশেহারা অবস্থায়, সেই প্রথম রুখে দাঁড়ায়। শুরু করে সংগ্রাম। আস্তে আস্তে তার সাথে যোগ দেয় অনেকে। সংগ্রামের ঘাত প্রতিঘাতে এগিয়ে যায় গল্প, দ্বীপবাসী খোঁজে পরিত্রাণের উপায়। দ্বীপের লবন ব্যবসায়ী কায়াস হাম্মান আবার ভিন্ন কথা বলে সংকট নিয়ে। এতদিন যাবৎ ভুল উপাস্যের উপাসনা করার কারণেই নাকি এই সংকট। রুষ্ট হয়ে দেবতা আরাহুট এই সংকট পাঠিয়েছেন, সবার উচিত আরাহুটের উপসনা করা। অন্যদিকে, নাইভা রাস্কি, যে কিনা একজন তাম্বুলক্রিয়ক, এই দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়ে যায় সংকটে। সে দেয় পরিত্রাণের ভিন্ন এক উপায়। বড় ঝুঁকিপূর্ণ সে উপায়। আশিয়া, দ্বীপের বৈদ্যবাড়ির মেয়ে, ভেতরে ভেতরে পছন্দ করে ইব্রারকে। স্বপ্ন দেখে একদিন ইব্রার ওর ভালোবাসা বুঝবে। অসহায় মুহূর্তে সেও নেয় মরিয়া এক সিদ্ধান্ত। দুর্দান্ত অ্যাকশন, কখনও বুদ্ধির পরীক্ষা, কখনও কখনও মুগ্ধ বা অবাক করার মতো তথ্য, জীব, ইতিহাস, উপকথা বা জায়গা—‘দাবনিশ আখ্যান: আসমানের আঁধার’ এরকমই এক উপন্যাস। তানজিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবনিশ আখ্যানের প্রথম নিবেদন আসমানের আঁধার। লেখক ও প্রকাশনীর পক্ষ থেকে লেখকের কল্পনায় অভিনব এক যাত্রায় সঙ্গী হতে পাঠকদের সাদর আমন্ত্রণ।