ইহুদি ও খ্রিষ্টান। বিশ্ব ইতিহাসের প্রাচীন দুই জাতি। বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতার চাকায় যাদের আজ নিয়ন্ত্রণ। মুসলিমদের সঙ্গে সংঘাতে যারা আছে সর্বাগ্রে। এসব আমাদের চোখের সামনে স্পষ্ট হলেও আড়ালে রয়ে গেছে এ দুই জাতির প্রকৃত ইতিহাস। নিরেট সত্যকে আড়ালে রেখে নিজেদের মনগড়া বিকৃত ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টায় সদা লিপ্ত। সেই প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছেন এ গ্রন্থের লেখক। হয়েছেন ধর্মীয় ইতিহাসের উৎস ও আদি মূল অন্বেষণের কষ্টসাধ্য দীর্ঘ যাত্রার মুসাফির। প্রাচীন গ্রন্থ ও ইতিহাস, ধর্মীয় দল-উপদল প্রধানদের গ্রন্থনা, ইউরোপিয়ান ধর্মীয় ঐতিহাসিক দিকপালদের লেখনীর আলোকে সেসব উপস্থাপন করেছেন সুচারুরূপে। তিনি গবেষণা চালিয়েছেন ইহুদি ও খ্রিষ্টাধর্মের ক্রমবিকাশের ইতিহাস, এর ওপর আপতিত রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, জাতিগত ও সভ্যতাকেন্দ্রিক সন্ধিক্ষণ নিয়ে। আজকের ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের যে চক্রান্ত, পাঠক হবেন এর গোড়ার অধ্যায়ের সাক্ষী। লেখক শুধু ইতিহাস বর্ণনা করেই শেষ করেননি। কুরআন-হাদিসের আলোকে এবং যুক্তির নিরিখে উন্মোচিত করেছেন ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের প্রকৃত চিত্র। প্রমাণ করেছেন তাদের বিভ্রান্তি এবং দাবিসমূহের অসারতা। শেকড়সন্ধানী লেখক পাঠককে নিয়ে যাত্রা করবেন ইহুদিদের প্রাচীন সময়ে। প্রায় ৩০০০ বছর আগে তাদের আদি নিবাস এবং উৎপত্তিস্থলে। ঐতিহাসিক উত্থান-পতন থেকে কীভাবে এলো আজকের ইসরাইল? সেটিও তিনি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন। ইহুদি ও খ্রিষ্টধর্মের একেবারে সূচনা থেকে ধীরে ধীরে আজকের ইসরাইলে রূপান্তরের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসের গ্রন্থিত রূপই—‘ইহুদি ও খ্রিষ্টান জাতির ইতিহাস’।