“স্কেচ" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ স্কেচ উপন্যাসের আগের পর্ব ছিল মুখােশ। যারা মুখােশ বইটি পড়েননি তাদের জন্য সংক্ষেপ বিবরণী দিয়ে দিচ্ছি। মুখােশ বইটি গড়ে উঠেছিল একজন আফজাল চৌধুরীকে ঘিরে। আফজাল চৌধুরী এই সমাজের একজন নামি-দামি বিজনেসম্যান। নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন বিশাল চৌধুরী সাম্রাজ্য। তার অফিসে তিনি একদিন চাকরি দেন রায়ান নামের একজনকে। যার কাজ এই অফিসের কিছু মানুষের আসল মুখােশ তুলে আনার। সেই মুখােশ উন্মােচন করতে গিয়েই একে একে খুলতে থাকে সবার গােপন মুখােশ। বাদ যায় না আফজাল চৌধুরীর স্ত্রী রিনি চৌধুরী এবং ভাই আশফাক চৌধুরীও। ঘটে যায় খুনের মতাে ঘটনা। খুন হয় অফিসের এক তরুণী যার নাম অরণী। যাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন রিনি এবং আশফাক চৌধুরী। আশফাক চৌধুরীকে প্রেমের জালে ফেলে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চেয়েছে রিনি চৌধুরী। কিন্তু রিনি চৌধুরির সম্পর্ক ছিল নিপু নামের একজন স্টাফের সঙ্গে। রাব্বানি, দীপা, লতিফ সাহেব, স্বপন সবাই ছিল মুখােশ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্র। পরিশেষে রিনি চৌধুরীর আত্মহত্যা সবার সামনে একটা প্রশ্নবােধক চিহ্ন রেখে গেছে। কে কাকে আড়াল করতে কাকে খুন করেছে। কার মুখােশ উন্মােচন হতে গিয়ে অন্য কার মুখােশ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে সবই বলা হয়েছে মুখােশ বইটিতে। তারপরও পাঠক চেয়েছে আরও কিছু জানতে তাই স্কেচ বইটি সাজিয়েছি আঠারাে বছর পরের কাহিনি দিয়ে যার নায়ক আফজাল চৌধুরীর একমাত্র বংশধর আবার চৌধুরী। বাবার অমীমাংসিত কাজ যে সমাপ্ত করতে চেয়েছে। পরিষ্কার করতে চেয়েছে তার চারপাশের ভণ্ড মুখােশে আচ্ছাদিত কিছু মানুষকে। আশা করছি মুখােশের মতাে স্কেচ বইটিও আপনাদের বিপুল ভালােবাসা পাবে।
Farzana Mitu পৃথিবীতে প্রেম সব থেকে বড়ো একটা বিষয়। প্রেম না থাকলে হয়তো কোনো সংঘাতও থাকতো না। জীবন একঘেয়ে হয়ে যেতো। এমনটাই ভাবেন কথাশিল্পী ফারজানা মিতু। লেখালেখিতে তাই প্রধান উপকরণ- প্ৰেম। তবে কখনো কখনো প্রেমের চেয়েও মহান উপকরণ খুঁজেছেন। তিনি কিন্তু ঘুরে ফিরে বিরহ আর প্রেমই একাকার হয়ে উঠেছে তার লেখায়। শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে তারপর উপন্যাস। এরই মধ্যে লিখে ফেলেছেন দেড় ডজন। উপন্যাস। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় প্রতিদিনই ছাপা হচ্ছে কোনো না কোনো লেখা। কবিতা, ছোটগল্প, প্ৰবন্ধ সব শাখাতেই সমান বিচরণ। বাবা অন্তঃপ্ৰাণ । অভিমানী। খুব আবেগ প্রবণ এই কথাশিল্পীর জন্ম ১১ ডিসেম্বর। লেখালিখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। সোচার হয়েছেন নিজে, সচেতন করেছেন চারপাশের মানুষকে। চরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের ৩৫টি দেশ। বাংলাদেশ তাঁর স্বপ্নের ঠিকানা। তার প্রতি পাঠকের উৎসাহী করে প্রতিনিয়ত।