তবু মন ভাবে তারে মানুষের জীবন আশ্চর্য এক কল্পগাঁথা। এখানেই ঘটে ঘুমের মাঝে দেখা আশ্চর্য সব গল্প। বর্তমানে দাঁড়িয়ে যেমন অতীতকে ঝেড়ে ফেলা যায় না, তেমনি বর্তমানে দাঁড়িয়েও বলা যায় না আগামীতে কী ঘটবে। অতীতে ঘটে যাওয়া একটা ভুল এসে দাঁড়ায় বর্তমান জুড়ে কিন্তু ঋতু আর নিতু তো সেই অতীতে ছিলনা, তারা তো দাঁড়িয়ে আছে বর্তমানে। হয়তো তাদের অতীত তাদের থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না যা তাদের বর্তমানকেও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের গল্প আর সবার প্রেমের গল্পের মতো সাধারণ হতে পারত কিন্তু সেটা হয়নি। আসলে প্রেম মানেই অসাধারণ কিছু আর যার জীবনে আসবে উড়িয়ে নিতেই আসবে। নাহলে ঋতুর জীবনে যে প্রেম এসে ফিরে গেছে তাকে কেন আবার জীবনে টেনে আনতে হবে? আর নিতুই কেন ভুল মানুষকে ভালোবাসতে যাবে? সজল নাকি সায়ান কে ভুল ছিল নিতুর জন্য? দুজনইতো ভালোবেসে নিতুর হাত ধরতে চেয়েছে। তাহলে ভুল কেন হবে? ঋতুর জীবনে মারুফ তো ভুল কেউ না তাহলে মারুফকে কেন এভাবে আটকে ফেলা হলো? মারুফ তো শুধু ঋতুকে নিয়ে সঠিক ট্রেনেই উঠতে চেয়েছিল। ওদের গল্প চাইলে এখানেই শেষ করে দেওয়া যায় অথবা আগামীতে অন্য কোনো গল্পে তাদের আবার নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়। নতুন গল্পে তারা ভুল থেকে শুদ্ধ হয়েই ফিরে আসুক, ততদিন পর্যন্ত আমরা মনের মাঝে কিছু প্রশ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়াই। সব প্রশ্নের সমাপ্তি আসুক, নিতু আর ঋতুর কথা আগামী কোনো গল্পে শেষ হোক।
Farzana Mitu পৃথিবীতে প্রেম সব থেকে বড়ো একটা বিষয়। প্রেম না থাকলে হয়তো কোনো সংঘাতও থাকতো না। জীবন একঘেয়ে হয়ে যেতো। এমনটাই ভাবেন কথাশিল্পী ফারজানা মিতু। লেখালেখিতে তাই প্রধান উপকরণ- প্ৰেম। তবে কখনো কখনো প্রেমের চেয়েও মহান উপকরণ খুঁজেছেন। তিনি কিন্তু ঘুরে ফিরে বিরহ আর প্রেমই একাকার হয়ে উঠেছে তার লেখায়। শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে তারপর উপন্যাস। এরই মধ্যে লিখে ফেলেছেন দেড় ডজন। উপন্যাস। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় প্রতিদিনই ছাপা হচ্ছে কোনো না কোনো লেখা। কবিতা, ছোটগল্প, প্ৰবন্ধ সব শাখাতেই সমান বিচরণ। বাবা অন্তঃপ্ৰাণ । অভিমানী। খুব আবেগ প্রবণ এই কথাশিল্পীর জন্ম ১১ ডিসেম্বর। লেখালিখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। সোচার হয়েছেন নিজে, সচেতন করেছেন চারপাশের মানুষকে। চরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের ৩৫টি দেশ। বাংলাদেশ তাঁর স্বপ্নের ঠিকানা। তার প্রতি পাঠকের উৎসাহী করে প্রতিনিয়ত।