আমার গল্পগুলােতে সাধারণত রােমান্টিকতা থাকে না। নিতান্তই কম! গল্পের প্রয়ােজনে আনতে হয় এমন। এখন রােমান্টিকতা বলতে আমরা কী বুঝি? আমার নিকট মনে হয়ে, রােমান্টিকতার অনেকগুলাে ধারা আছে। আদতে ধারাগুলাে লিখিয়েদের উপলব্ধি ক্ষমতায় সীমাবদ্ধ! যার উপলব্ধি ক্ষমতা যতটা তীব্র ও প্রখর সে তেমনই অনিন্দ্য উপস্থাপন করবে গল্পকবিতা-উপন্যাসে। এই রােমান্টিসিজম লিখতে না পারার বিরাট এক আক্ষেপ জমে ছিল! কারণ, রােমান্টিকতা আনতে গিয়ে বরাবরের মতােই টেনে এনেছি বিরহ, বিচ্ছেদ ও অশ্রু! সুখের বদলে দুঃখ দিই, হাসি দিয়েই নির্মমভাবে কাঁদাই। জীবনকে রঙধনুর রঙে রাঙিয়ে মুহুর্মুহু করে তুলি ধূসর ও বিভীষিকাময়। আমার রােমান্টিক গল্প আর লেখা হয় না। ক্ষীণ মন খারাপ হয়। গল্প ও উপন্যাসের ইতি পর্বে ‘সুখ’ মেলে না। তবে এবার মনে হয় সেই আক্ষেপ ঘুচলাে। কিংবা না কে জানে! তাহলে চন্দ্রাবতী কী? নিজের সকল যুক্তিতর্ক ও দ্বিধা-সঙ্কোচ কাটিয়ে আবিষ্কার করি ‘চন্দ্রাবতী' সেই আক্ষেপ ও মন খারাপের জগৎ থেকে উঠে আসা একটি ‘রােমান্টিক ও রহস্যে ঘেরা পৌরাণিক উপন্যাস! অবশ্যি সম্পূর্ণ পৌরাণিক বলাও যায় না। তবে অধিকাংশই! জীবনের সঙ্গে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার ঘটবে। এই লেখাটি লিখেছি মূলত নিজের আনন্দের জন্য। একান্তই নিজের ভালােলাগা থেকে। আত্মতুষ্টি করবার জন্য। আক্ষেপ নিস্পত্তি ঘটুক।