#ফিতনাকালীন_মুসলিমের_শ্রেষ্ঠ_সম্পদ—— 'আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন মুসলিমের উত্তম সম্পদ হবে কয়েকটি বকরি, মা নিয়ে সে পর্বতচূড়ায় অথবা বৃষ্টিপাতের স্থানে চলে যাবে। সে ফেতনা হতে দ্বীনসহ পলায়ন করবে ।' সহীহুল বুখারী হাদিস নং 19, 3300, 7088 সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস 5958 #এই_ছয়টি_নিদর্শন_গণনা_করে_রেখো— আউফ ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তাবুক- যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলাম। তখন তিনি একটি চামড়ার তৈরি তাঁবুতে ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কিয়ামতের আগের একটি নিদর্শন গণনা করে রেখো—— ১/ আমার মৃত্যু। ২/ অতঃপর বাইতুল মাকদিস বিজয়। ৩/ অতঃপর তোমাদের মধ্যে বকরির পালের মত (সর্বত্র ছেয়ে যাওয়া) মহামারীর প্রাদুর্ভাব। ৪/ সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে 100 দিনার দেওয়ার পরেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে। ৫/ অতঃপর এমন এক ফিৎনা আসবে যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে। ৬/ অতঃপর যুদ্ধ– বিরতির চুক্তি——যা সম্পাদিত হবে তোমাদের এবং বাণী আসফার বা রোমকদের মাঝে। তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে; প্রত্যেক পতাকাতলে থাকবে 12 হাজার সেনা সহীহুল বুখারী হাদিস নং 3176 "পরকালের পথে যাত্রা" এই বইটির 44- 45 পৃষ্ঠা থেকে সংগ্রহীত বইটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত মুফাসসির । আল্লামা ইবনু কাসির রাহিমাহুল্লাহ বইটি অনুবাদ করেছেন । আরিফ মাহমুদ বইটির প্রকাশনা রয়েছে: আর রিহাব পাবলিকেশন্স প্রকাশক মহাদয় বইটির মুদ্রিত মূল্য রেখেছেন 630 টাকা
আল্লামা ইবনে কাছীর রহ. এর জন্ম ১৩০১ খ্রিস্টাব্দে বসরার (বর্তমান সিরিয়া) মামলুক সালতানাতে। তার পুরো নাম ইসমাঈল ইবন উমর ইবন কাসীর ইবন দূ ইবন কাসীর ইবন দিরা আল-কুরায়শী হলেও তিনি ইবনে কাছীর নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি কুরায়েশ বংশের বনী হাসালা গোত্রের সন্তান। তার জন্মস্থান এবং জন্ম তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার শিক্ষাজীবন এবং শৈশব নিয়েও খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে মামলুক সালতানাতেই তিনি বড় হয়েছেন, এ ব্যাপারে ইতিহাসবিদগণ নিশ্চিত। কৈশোরে তিনি ফিরিঙ্গীদের যুদ্ধ, ক্রুসেড, তাতারদের আক্রমণ, শাসকদের অন্তর্কোন্দল, বিদ্রোহ করে ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানির মতো যাবতীয় দুর্যোগ আর দুর্দশা দেখে দেখে বড় হয়েছেন। কর্মজীবনে ইবনে কাছীর রহ. উন্মুসসা’ ওয়াত তানাকুরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। কুরআন, হাদিস, তাফসির, ইতিহাস, গণিত সহ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তিনি বিচরণ করেন। শায়খ তকী উদ্দী (রহঃ), উস্তাদ হাজরী (রহঃ), ইবনুল কালানসী (রহঃ) প্রমুখ প্রবাদত্যুল্য শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে নিজের জ্ঞানের আলোয় তিনি আলোকিত করেছিলেন মধ্যযুগীয় মুসলিম জ্ঞানপিপাসুদের। ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে দামেস্কে তার মৃত্যু হয়। আল্লামা ইব্নে কাছীর রহ. এর বই সমূহ ইসলামি দর্শন, ফিকহ শাস্ত্র, তাফসির ও ইতিহাস নির্ভর। তার রচিত ‘তাফসিরে ইবনে কাছীর’-এর জন্য তিনি বিশ্বজোড়া সমাদৃত। পবিত্র কুরআনের কাছীরগুলোর মাঝে তার এই গ্রন্থটিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং প্রামাণ্য। ১১ খণ্ডে প্রকাশিত ‘তাফসিরে ইবনে কাছীর’, ‘কাসাসুল আম্বিয়া’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘কিতাবুল আহকাম’ সহ বেশ কিছু জ্ঞানগর্ভ বই রয়েছে আল্লামা ইবনে কাছীর রহ. এর বই সমগ্রতে।