স্বয়ং নবী করীম (সাঃ) তাঁর নবুওয়াতের দৃপ্ত ঘোষণা দিয়েছেন। এর উপর দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। সেই সুদৃঢ়তম দলীল হল কোরআনুল কারীম। উল্লেখ্য যে, প্রায় এক হাজারের অধিক সুস্পষ্ট মুজিযা নবী করীম (সাঃ) থেকে প্রকাশিত হয়েছে। যেমনটি মুহাক্কিক তথা যুগশ্রেষ্ঠ তাত্ত্বিক-বিশ্লেষকগণ জানেন। এই সকল মুজিযা অকাট্যরূপে প্রমাণিত। যেমন নবুওয়াতের দাবীর সত্যতা সবার নিকট প্রমাণিত। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা উল্লেখ্য যে, কোরআনুল কারীমের বিভিন্ন স্থানে কাফেরদের ভাষায় এই মুজিযাকে যাদু বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। এর কারণ হল, কাফেরদের তো মুজিযাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই এবং মুজিযাকে তারা নিজেরাও প্রত্যাহার করতে পারবে না। তবে যাদুকে তারা অস্বীকার করতে পারবে ও প্রত্যাখ্যান করতে পারবে। তাই নিজেদেরকে ধোঁকায় এবং নিজেদের অনুসারীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার উদ্দেশ্যে এই মুজিযাকে যাদু বলে চালিয়ে দিয়েছে। হ্যাঁ, রাসূলে আরাবী (সাঃ)-এর মুজিযাসমূহ অকাট্য। শত শত তাওয়াতুরের দৃঢ়তার সমতুল্য। সুতরাং তা অস্বীকার করার কোন পথ নেই। আর মুজিযাসমূহ নিজে নিজেই রাসূলে করীম (সাঃ)-এর নবুওয়াতের দাবীর স্বপক্ষে আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে সত্যায়ন ও সমর্থনস্বরূপ। অর্থাৎ, মুজিযা যেন আল্লাহ্ তাআলার কথা বলার ভিন্ন একটি ভাষা।
সাইদ নুরসি (১৮৭৬ – ১৯৬০), বদিউজ্জামান নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি রিসালায়ে নূর নামক কুরআনের ব্যাখ্যা রচনা করেন। এটির আকার ছয় হাজার পৃষ্ঠার অধিক। আধুনিক বিজ্ঞান ও যুক্তিকে ভবিষ্যতের পথ বিবেচনা করে তিনি সাধারণ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় জ্ঞান ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন।নুরসি একটি বিশ্বাসভিত্তিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই আন্দোলন তুরস্কে ইসলামের পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এর ব্যাপক অনুসারী রয়েছে। তার অনুসারীদের প্রায় "নুরজু" বা "নুর জামাত" নামে অবিহিত করা হয় এবং তাকে শ্রদ্ধা করে উস্তাদ ডাকা হয়।অনুরক্ত তুর্কি যুবসমাজ তাকে বদিউজ্জামান বা যুগের বিশ্বয় (Wonder of the age) নামে অভিহিত করে।