জালালুদ্দিন মুহাম্মাদ রুমি পৃথিবীতে এসেছিলেন ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। তাকে নিয়ে ইংরেজিতে গবেষণামূলক এই বইটি লেখা হয়েছিল বিংশ শতাব্দীতে। অসাধারণ এই বইটির বাংলায় অনুবাদ হলো একবিংশ শতাব্দীতে। বইটিকে বাংলায় পড়ে বোঝার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হলো প্রায় অর্ধ শতাব্দী। মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, কী এমন বই এটা? কী প্রয়োজন পড়ার? এক কথায় উত্তর হলো, নিজেকে বুঝতে। ‘নিজেকে কখনও একা ভাববেন না, পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আছে আপনার ভেতরে’ -রুমি
রুমির কথার নিগূঢ় অর্থ বুঝতে উইলিয়াম সি. চিটিক এর মতো লেখকের লেখা পড়া প্রয়োজন। এই বইটিতে তিনি রুমির রচনার প্রতিটি লাইনকে ইসলাম ও সুফিবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। তার বোঝানোর পদ্ধতি ও রেফারেন্সের বিস্তৃতি দুটোই অনন্য। ‘অজ্ঞতা কি ভালোবাসার জন্ম দিতে পেরেছে কোনোদিন? অজ্ঞতাও ভালবাসা জন্ম দেয়, কিন্তু বাস্তবে তা জীবনহীন।’ -রুমি
আমরা সবসময় নিজেদের ভালোবাসতে বলি। কিন্তু নিজেকে না জেনে ভালোবাসাতে কোনো জীবন আছে? বর্তমান তুরস্ক ও ইরানের মানুষেরা ভাগ্যবান। রুমির কথা তাদের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়েছে অনেক আগেই। এখন আমাদের জীবনেও সেই সুযোগ এসেছে। নিজেদের অন্তরের অন্ধকার দূর করে দীপ্তিময় জীবন গড়ার সময় এসেছে।