"শ্যামলী রমনা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: ইতিহাস থেকে জানা যায় বৃটিশ আমালের ঢাকার নিসর্গ শোভা ছিল অনেক চমৎকার। কিন্তু আমরা সেই সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারেনি ও লালণ করতে পারেনি। তাঁদের দেয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ঢাকার শহর থেকে সবুজ মাঠ, পুকুর, পার্ক, উদ্যান ক্রমাগত হারিয়ে গেছে। রমনা পার্ক ঢাকার ফুসফুস। রমনার বৃক্ষের ছায়া অনেক পথিকের ক্লান্তি দূর করে। ঢাকার ও বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ও বিপন্ন তরু রাজ্যের অনেক গাছপালাই পাওয়া যাবে রমনা পার্কে। রমনা পার্কে আছে অনেক প্রজাতির গাছপালা। তাছারা এখানে অনেক প্রজাতির বন্য পাখি ও অনন্য প্রাণী বসবাস করে। শ্যামলী রমনার নিসর্গ শোভা আমাদের প্রাণে শক্তি যোগায়। এখানের গাছ পালার ফুলের শোভা আমাদের সারাবছর রাঙিয়ে রাখে, আমারা রমনায় গিয়ে ছয় ঋতুর দেখা পাই। রমনার গাছপালা ও ইতিহাস কথা অনেকের কাছে অজানা। তাছারা বিদেশে এ ধরনের উদ্যান নিয়ে অনেক গ্রন্থ ও গবেষনা থাকে। আমাদের উদ্যান কেন্দ্রিক বইপত্র বাজারে তেমন পাওয়া যায়না। রমনার পার্কের গাছপালা ও পশু পাখি নিয়ে তেমন কোন ভাল প্রকশানাও নেই। ইদানিং তরুণ প্রজন্ম রমনার গাছপালা চিনতে আগ্রহি। এ গবেষনামুলক বইয়ে রমনার ইতিহাস, ছয় ঋতু, তরু-লতা, পাখি, প্রজাপতিসহ অন্যান্য বন্য প্রানীর ছবি সহ বর্ণনা রয়েছে।
জন্ম বরিশালের শায়েস্তাবাদের হবিনগর গ্রামে তাঁর মায়ের বাড়িতে। শৈশব ও কৈশর কেটেছে হবিনগর গ্রাম, বরিশাল শহর ও ঢাকা শহরে। তিনি প্রকৃতিবিষয়ক প্রবন্ধ লিখেন এবং নিবিষ্ট প্রকৃতি গবেষক। কবি জীবনানন্দ দাশের নিসর্গ তাঁর গবষেণার অন্যতম বিষয়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রকৃতি বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন দৈনিক 'প্রথম আলো' কাগজের প্রকৃতি কলামে। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো হলো-'জীবনানন্দের পাখিরা', মায়ের ঘ্রাণমাখা নদী', 'শ্যামলী রমনা' 'বাংলার ও জীবনানন্দের শালিকেরা' এবং 'পাখি আমার বনের পাখি'।