বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে সৈয়দ আল ফারুক একটি দীপ্র নাম। কী ছড়া, কী কবিতা, কী গল্প - সব শাখাতেই উজ্জ্বল উপস্থিতি তাঁকে সত্তর দশকের শীর্ষস্থানীয় শিশুসাহিত্যিক হিসেবে চিহ্নিত করে। অশ্রুতপূর্ব শ্রুতিসুখকর অন্তমিল প্রয়োগ, বৈচিত্রময় আঙ্গিক রচনা, নিপুন নিখুঁত ছন্দ সৃষ্টি সৈয়দ আল ফারুকের ছড়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য। অসংখ্য স্মৃতিধার্য ছড়ার সৃষ্টি-কর্তা, এই লেখক লিখেছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিস্ময়কর স্মরণীয় কিশোর কবিতা। অভাবনীয় উপমা, মিষ্টি শব্দচয়ন, টুকরো চিত্রকল্প - সব মিলিয়ে প্রতিটি কবিতাই স্বতন্ত্র, শক্তিশালী। বিচিত্র বিষয়, অপূর্ব বর্ণনা এবং মোহনীয় ভাষা তাঁর শিশুকিশোর গল্পগুলোর মূল প্রাণশক্তি। তাই লেখাবাহুল্য, সৈয়দ আল ফারুকের প্রতিটি ছড়া, যে কোনো কিশোর কবিতা কিংবা সবগুলো গল্পই পাঠকের মনে তোলে স্বত:স্ফূর্ত তোলপাড় ।সৈয়দ আল ফারুকের ছড়া-কবিতা-গল্পের জগৎ এমন এক মোহনীয় জগৎ - যেখানে কেবল ছোটদেরই নয়, সব বয়েসী পাঠকের সমান প্রবেশাধিকার, সমান আনন্দ। প্রথম কবিতা লেখা কৈশোরে উনিশ শ উনসত্তরে, সাহিত্য চর্চায় পুরোপুরি আত্মমগ্ন হয়েছেন সত্তর দশকের মাঝামাঝি। শুধু শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রেই নয় সাহিত্যের অন্যান্য শাখাতেও সব্যসাচী লেখক রাখেন ব্যাপক অবদান। ২১টি ছোটদের বই, ২১টি কাব্যগ্রন্থ নিয়ে মৌলিক ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় অর্ধশত । উল্লেখযোগ্য ছোটদের বই : ছবির মধ্যে ছবি, বদলে যেতে যেতে, বাংলাদেশের পা দুটো, সবার ওপরে মুক্তিযোদ্ধা, সাহেবের মামা, একাই ১০০, সৈয়দ আল ফারুকের কিচ্ছু ভাল্লাগে না, একার কাছে একটা জাদুর পেনসিল আছে, আমার আমি, কিশোরসমগ্র ১, থ , ওয়াও আমি নিজের হাতে বাজাই নিজের ঢোল, আমার মনে জাগতো শুধু বঙ্গবন্ধু হই।