প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন শেষ করা হয়নি জামিল হাসানের। ইচ্ছে ছিলো আইনজীবী হবে, তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েশন করার পর জামিল ঢাকা চলে যায় এবং ভর্তি হয় ধানমন্ডি ল কলেজে। এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা সেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের পর থেকে খুব একটা স্থিতিশীল কখনোই পাওয়া যায়নি একটানা কোনো একটি বছর। আর ঢাকার অবস্থা আরো অস্থির। ছাত্র ধর্মঘট, পরিবহণ ধর্মঘট, শ্রমিক আন্দোলন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নানান কর্মসূচি এবং একপক্ষের সাথে অপরের দাঙ্গা প্রায় প্রতি মাসেই সংঘটিত হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় বছরের ছয় মাস থাকে কলেজ বন্ধ। জামিল হাসান প্রায় দুই বছর ঢাকার উত্তাল রাজনৈতিক পরিবেশে কাটিয়ে যখন বুঝতে পারলো সেশনজট কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তার এলএলবি পরীক্ষা দেয়া হবে না, তখন সে সিদ্ধান্ত নিলো নিজের শহর সুনামগঞ্জে চলে যাবে। একদিন সে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে বিনীতভাবে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জনাব রেজাউল হাসান • স্যার বললেন, জানোতো বাপু সারাদেশে সেই ১৯৮৬ সাল থেকে জোরেসোরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলছে। গণতন্ত্রের মুক্তির এই আন্দোলনের জন্যে হরতাল-ধর্মঘট লেগে থাকায় আমরা সময়মতো পরীক্ষা না নিতে পারায় তোমাদের আগের আরো দু'টি ব্যাচের এখনো পরীক্ষা নিতে পারিনি।