রুমা মোদকের গল্পের চরিত্রেরা আমাদের চেনা। এত চেনা যে গল্পের চরিত্র হিসেবে তাদের ভাবতে কখনো দ্বিধা হয়। চা-স্টলের বেঞ্চিতে বসে লাল চা খাওয়া লোকটা টিভিস্ক্রিনে ঢিশুম ঢিশুম বাংলা সিনেমা দেখতে দেখতে তাঁর গল্পে ঢুকে পড়ে। চমৎকার বক্তৃতা-ঝাড়া নেতাটাকে যখন তিনি শিল্পীর বিবর্ধক কাচে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ করেন ও তুলে ধরেন পাঠকের কাছে পাঠকের তখন বিব্রত হওয়া ছাড়া গত্যন্তর কই! কেননা তারা তো তাদের নেতাকে এভাবে কখনো দেখতে শেখেনি। আর লেখিকা সচেতন ভাবেই তাঁর গল্পে এইসব ধর্ষক ও লম্পটকে ঠাঁই দিয়েছেন যেভাবে সমাজ তাদের ঠাঁই দেয়- পরিচর্যা করে। গল্পগুলোতে তিনি নির্দেশ করেছেন বখে যাওয়া এই সমাজকেই যেখানে নিজের উঠতি মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে টোপ হিসেবে মা তার নিজের সম্ভ্রম এগিয়ে দেয়- কারখানার কিশোরী-যুবতীরা বাড়তি পয়সা রোজগারের বাঁকা পথে গিয়ে বরং নগ্ন করে পুঁজিপতিদের নোংরা শোষণ। এরই ভেতর জীবন যেভাবে এগিয়ে যায় প্রেম ও অপ্রেমের মধ্য দিয়ে সেইসব যাপনের ঘনিষ্ঠ নানা অনুষঙ্গকে রুমা মোদক গল্প করে তুলেছেন। গল্পের খাতিরে অবতারণা করেছেন জাতীয় জীবনে ঘটে যাওয়া স্পর্শকাতর সব ঘটনার। গুলশান ট্রাজেডি- অপারেশন টোয়াইলাইট- নাসিরনগর । তবে এরা জিগশ পাজলের মত আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এদের জুড়ে নিয়ে ব্যাখ্যা করার দায় এখন পাঠকের। গল্পকার তো গল্প বলবেন মাত্র। মনিরুল ইসলাম মুন্না