ইসলাম ও নবিজির (স) জীবনী নিয়ে বাংলা ও ইংরেজীতে লেখা কবিতা যা আপনাকে শিহরিত করবে। নবিজির (স) জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বহু ঘটনার বিবরণ যা আপনার ঈমানকে দৃঢ় করবে। মরুর পথে বইটি লেখকের অনেক ধর্মীয় আবেগ, ভ্রমণের বাস্তব অভিজ্ঞতা, নবিজীর স্মৃতিবিজড়িত বহু জায়গার হৃদয়স্পর্শী বর্ননা নিয়ে লেখা। মরুর পথে ঘুরে ঘুরে তীব্র অনুভুতিতে সিক্ত হয়েছেন লেখক। রাসুলের(স) স্মৃতির স্পর্শ পেতে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন রুক্ষ মরুর ধুসর প্রান্তে। তার ভাষায় রাসুলের (স) স্মৃতির স্পর্শ পেতে বেলা অবেলায় ঘুরি মরুর পথে
রাসুল(স)এর শৈশবের স্মৃতিঘেরা তায়েফের মরুপ্রান্তরে যে গাছের নিচে সিনাচাক হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে অনুভব করেছেন এখানের মাটিতে কচি কচি পদক্ষেপে হেটেছেন শিশু নবি মোর। বিশুদ্ধ আবেগে উদ্বেলিত হৃদয়ে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে দুই পাহাড়ের পাদদেশে ঠান্ডা শীতল বাতাস জুড়িয়ে দিল শরীরের অণু পরমাণু। এক বিস্ময়কর অনুভুতিতে সিক্ত শরীর মন। মানস চক্ষে দেখতে পেলেন রাসুল(স) এখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন শৈশবে। মরুর ধুলোয় রাসুলের (স) স্পর্শ আর সেই মাটিতে তিনি দাঁড়িয়ে ভাবলেন- কত গ্রীষ্ম শত বর্ষা কত মরুঝড় উড়িয়ে নিয়েছে এখানের মাটি হাজার বছর পরে তারি খোঁজে হায় আমি সেই মরুপথে হাঁটি। তায়েফে বনু সাদ গোত্রের রুক্ষ মরুপাহাড়ের উপর মা হালিমার সেই জীর্ণ কুটির নিয়ে তিনি লিখলেন। পাশের ঘরে শিশু মুহাম্মাদ (স) ঘুমাতেন। সেই জায়গায় জায়নামাজ বিছানো, মানুষেরা এখন নামাজ পড়ে। সেখান থেকে ফিরে তায়েফ শহরের রাজপথে যেখানে নবিজীকে পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছিলেন তায়েফবাসীরা সেখানে এসে অশ্রূবিগলিত হৃদয়ে লিখলেন রক্তে ভেজা তায়েফ কবিতাটি। তায়েফে এসে অশ্রু ঝরে,হৃদয়ের গভীর গোপন ব্যথা উথলে ওঠে। অসংবরণীয় কষ্ট নীরবে কাঁদে।
সেই তায়েফ আজ সুজলা সুফলা বিশাল অট্টালিকা সুরম্য প্রাসাদ মসজিদে ভরা। ফলে ফুলে সজ্জিত পাহাড়ে সুদর্শন ঐতিহাসিক শহরে মানুষ পাগলপারা। মেঘেরা যে শহরের মানুষকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় শীতের শিশির যেখানে পড়ে ঝরে। হিমহিম শিহরণের হালকা মেঘ যেথায় শরীর মন স্পর্শ করে। রক্তে ভেজা তায়েফ নীরবে কাঁদায়, দেখতে পায় না কেউ। স্মৃতির সাগরে উত্থিত হয় একরাশ বিষণœ বেদনার উন্মাতাল ঢেউ।
দক্ষিণ বাংলার সীমান্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আটুলিয়া গ্রামে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ ১৯৭৬ সালের ২০শে আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। স্মৃৃতিময় দুরন্ত শৈশব ও বর্ণময় কৈশোর কেটেছে তার চাঁদের আলোয় রুপালি ঝিলিক তোলা ছোট্ট নদী চুনার তীরের নির্জন গ্রামে মনের আনন্দে খেলে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে। কখনো বা চাঁদনি রাতে ধবধবে সাদা জোছনার বুকে একাকী বসে থেকে, যেখানে পূর্নিমা রাতে আকাশ ভেঙ্গে নামা শুভ্র জোছনার প্লাবনে ভেসে যায় পল্লীর মাঠ, ঘাঠ, অবারিত প্রান্তর। কখনো বা জোনাক জ্বলা আঁধার রাতে তারার অলোয় পথ চলে। তিনি ১৯৯২ সালে এস,এস.সি পাশ করার পরে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ২০১১ সালে Chartered Accountant হিসাবে Qualified হন এবং ২০১৬ সালে FCA ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে পেশাদার Fellow Chartered Accountant(FCA) হিসাবে কর্মরত। পুরস্কার : অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০১৯ পদকে ভূষিত হন। মহাত্মা গান্ধী গবেষণা পরিষদ কর্তৃক মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮ অর্জন করেন। ওমর সিরাজ জি কিউ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮। রোহিঙ্গা জীবনের গল্প ‘‘সীমান্তের ওপারে” উপন্যাসের জন্য অমর সাহিত্য সন্মাননা- ২০১৮ লাভ করেন। এ কাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ এবং সাউথ আটুলিয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসে এইড্স নিয়ে জনসচেতনতায় অবদান রাখার জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ পদকে ভূষিত হন।