হাসনাতের 'সন্তান প্রসবকালীন গান' নামের প্রাকশিতব্য এই বইটিতে গ্রন্থিত লেখাগুলোতে একরম গীতলতা আছে, এমনকি সঙ্গীতের সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু শব্দের ব্যাবহারও লক্ষ্য করা যায়। প্রচ্ছদের সুত্রে এই বইয়ের কিছু লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে... টানা গদ্যের লেখাগুলোর গীতলতা কিন্তু ঠিক মেলোডিয়াস নয়—লেখার সুরটা এমন যে মীড় থেকে মীড়ে যাবার গমকগুলোকে যেন আলাদা করা যায়...
কখনো বন্দনা, কখনো স্মৃতিডুব, কখনোবা নেহাত ঘটমান বর্তমানের ধারাভাষ্যের সাথে একাধিক 'হতে পাত্ত'র সম্ভাবনা মিশিয়ে লেখায় যে আবহ তৈরি হয় তাতে করে একজন কবির স্বভাবসিদ্ধ ক্রোধের প্রকাশ দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু তা উচ্চকন্ঠ নয়— হাসনাতের স্বভাবসিদ্ধ সাইলেন্ট হাউলের মত— পড়তে পড়তে যার আঁচ টের পাওয়া যায়, কিন্তু সেই ধ্বনিত শব্দমালার উচ্চারণের সাথে অসংখ্য প্রতিধ্বনি এমন ভাবে দামামার মত বেজে উঠে যার মিউটেড টোনে কোন একক অভিসন্ধির দিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়না... লেখাগুলো যেন সার্বিক দিক থেকে চেতনাকে ঘিরে ধরে... খুব ভালনারেবল স্টেটে লেখা এই গদ্যভাষ্যগুলো যেন তার তীব্র শীতের শংকটে একটু উষ্ণতার জন্য গায়ে জড়ানো কম্বলের ওম এর আশ্রয় সন্ধান ... লেখাগুলোয় প্রসব যাতনা আছে, কিন্তু রক্তক্ষরণ নেই!