সেদিন একজন বললেন নরকের কথা তো অনেক শুনেছি, স্বর্গের কথাও কিছু বলুন। স্বর্গ বললে আসলে মনে পড়ে প্রাচীন জেন এবং সুফিদের কথা। যারা চেয়েছিল শূন্যে বিলীন হয়ে যেতে এবং নিজেদের নাম মুছে ফেলতে। একটি অচেনা সূর্যমুখীর আত্মার ভেতর তারা লুকিয়ে রেখেছিল নিজেদের স্বর্গ। এরপর তারা নিজেরাই ভুলে গেল সেই স্বর্গের কথা। সেই থেকে স্বর্গের সন্ধানে হন্য হয়ে ছুটছে মানুষ। অবশ্য সাদ্দাদও পেয়েছিলেন স্বর্গের সন্ধান, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের আগেই মৃত্যু হয় তার৷ আর ধ্বংস হয়ে যায় ইরামের সেই ভূস্বর্গ। সেই থেকে মানুষ দুনিয়াতে স্বর্গ পাওয়ার লোভ ছেড়ে দেয় এবং নেমে পড়ে অচেনা সূর্যমুখীর সন্ধানে। কারও কারও দাবি সিংহল শহরের সেরেনদ্বীপে তারা একটি সূর্যমুখীর খোঁজ পেয়েছিল। রাতের আঁধারেও জ্বলজ্বল করত সেই ফুল। তবে প্রথম লংকান গৃহযুদ্ধের পর সেই ফুলটিকে সেখানে আর কেউ দেখেনি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে পূর্ব জেরুজালেমের টাওয়ার অব ডেভিডেও দেখা গিয়েছিল হুবহু একই রকম দেখতে একটি সূর্যমুখী। কথিত আছে, রাতের বেলা সেই ফুলটি থেকে বিচ্ছুরিত আলোয় আলোকিত হয়ে থাকত গোটা জেরুজালেম শহর। তবে মার্কিন অভিযাত্রীদের জন্য গোপনে গোল্ডেন গেট খুলে দেওয়ার পর আর দেখা যায়নি সেই ফুলটি। সেই ঘটনার পর প্রায় আড়াই শ বছর অন্ধকারে ডুবে ছিল জেরুজালেম। এরপর অবশ্য অনেককেই সেই সূর্যমুখী দেখতে পাওয়ার ভুয়া দাবি করতে দেখা গেছে। এমনকি একদল আইরিশ পুরাতত্ত্ববিদ জয়েসের ফিনেগ্যানস ওয়েকে এই ফুল লুকিয়ে থাকার হাস্যকর দাবিও করেছিল। তবে সিনট্যাক্সজনিত জটিলতার কারণে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি কেউই।