আজকের পৃথিবীতে দেড়শ কোটি মুসলমানের বসবাস, একশব্দে যাদের পরিচয় মুসলিমজাতি। চৌদ্দশ বছর পূর্বে বিদ্যমান জাতিসত্তার তালিকায় যোগ হয়েছিল এই জাতিসত্তার নাম। সেদিন আকাশ-বাতাস, উদয়াচল-অস্তাচল, ঊ... See more
TK. 1,450 TK. 1,305 You Save TK. 145 (10%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
আরো দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
নিশ্চিত ৫০% ছাড়ে পাচ্ছেন সমকালীন প্রকাশন-এর সকল বই!
আজকের পৃথিবীতে দেড়শ কোটি মুসলমানের বসবাস, একশব্দে যাদের পরিচয় মুসলিমজাতি। চৌদ্দশ বছর পূর্বে বিদ্যমান জাতিসত্তার তালিকায় যোগ হয়েছিল এই জাতিসত্তার নাম। সেদিন আকাশ-বাতাস, উদয়াচল-অস্তাচল, ঊর্ধ্বগগণ-ধরণিতল সবকিছু আলোড়িত হয়েছিল। কারণ, দিনটি কেবল একটি জাতিসত্তার জন্মদিন ছিল না, ছিল নতুন পৃথিবীর জন্মদিবস! মুসলিম জাতিসত্তার উৎপত্তি ও বিকাশ নিত্যদিনের গতানুগতিক কোনো ঘটনা ছিল না। ইসলামি সভ্যতার কীর্তি ও অবদান কেবল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুহাম্মাদি সংস্কৃতির দান ও কল্যাণ শুধু মুসলিম সমাজে প্রবহমান ছিল না। ইসলাম ও মুসলিমজাতি, ইসলামি সভ্যতা ও মুহাম্মাদি সংস্কৃতি মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলার এক অনুপম দান, বিশ্বসমাজের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ। স্রষ্টা-সৃষ্টি সম্পর্কের সুষম ভারসাম্যের পরিচয় ও রূপ পৃথিবীতে ইসলামই তুলে ধরেছে। মানবিক সম্পর্কের ন্যায় ও উদার কাঠামো জগতে মুসলিমজাতিই প্রতিষ্ঠা করেছে। মানবকল্যাণে যা-কিছু প্রয়োজন, ইসলামি সভ্যতাই তার সবকিছু আবিষ্কার ও উৎপাদন করেছে। আদর্শ মানবসমাজ বিনির্মাণে যত উপায়-উপকরণ প্রয়োজন, মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই তার দাবি মিটিয়েছে। আর তাই এ দাবিতে মোটেও অত্যুক্তি নেই যে, ইসলামই অন্ধকার পৃথিবীকে আলোর দিশা দিয়েছে, মুসলিমজাতিই বিভ্রান্ত মানবসভ্যতাকে পথের দিশা দিয়েছে, ইসলামি সভ্যতাই বিষণ্ন মানবতার মুখে নির্মল হাসি ফুটিয়েছে এবং মুহাম্মাদি সংস্কৃতিই মশাল হাতে গৌরবময় আগামীর পথ দেখিয়েছে। হায়, মুসলিমজাতি কি জানে আপন অতীতের কথা, সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে তার অনুপম অবদানের কথা?! সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা?! দেড়শ কোটির এই পরিবার কি জানে, একদিন তারা কেবল বিশ্ব শাসন করেনি, সমাজ ও সভ্যতার প্রতিটি অঙ্গনের তৃষ্ণাও নিবারণ করেছিল। একদিন তারা কেবল ইবাদতের ইমামতি করেনি, জ্ঞানবিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতি, চিকিৎসা-দর্শন, স্থাপত্য-নগরায়ণ, রসায়ন-প্রকৌশল—কল্যাণকর প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিল। হায়, অমুসলিম জাতিসংঘ কি জানে মুসলিমজাতির পরিচয়?! অন্ধকারে কে তাদের হাত ধরেছিল? তৃষ্ণার্ত সন্ধ্যায় কে তাদের ঠোঁটে অমীয় সুধা তুলে ধরেছিল?! কে দিয়েছিল সত্য ও সফলতার সন্ধান?! কে শুনিয়েছিল সাম্য ও সুদিনের জয়গান?! রাহবার কি জানে আত্মপরিচয়?! পথহারা কি জানে রাহবারের পরিচয়?! --------- ড. রাগিব সারজানি। একজন দরদি দাঈ, একজন কুশলী ইতিহাসবিদ। আলোচনার ময়দানে ও বইয়ের পাতায় তিনি তুলে ধরেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও অবদান, করণীয় ও প্রয়োজন। তিনি সমৃদ্ধ অতীতের গল্প শোনান, সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনেন। তিনি ঘুমন্ত রাহবারকে জাগরণের আহ্বান জানান, দিগ্ভ্রান্ত পথিককে রাহবারের পথ দেখান। নন্দিত ও বরণীয় লেখক ড. রাগিব সারজানির এক অনন্যসাধারণ গ্রন্থ ‘মা-যা কাদ্দামাল মুসলিমুনা লিল-আলাম’। গ্রন্থটিতে তিনি তুলে ধরেছেন পৃথিবী ও মানবজাতির কল্যাণে মুসলিমজাতির উদ্ভাবন ও আবিষ্কার এবং কীর্তি ও অবদানের বয়ান। তথ্য ও যুক্তির মিশেলে তিনি রচনা করেছেন শ্রেষ্ঠতম জাতির নিখুঁত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য অভিধান। গ্রন্থটিতে আছে ঘুমন্ত রাহবার ও দিকহারা কাফেলা—উভয় শ্রেণির প্রয়োজনীয় তথ্যের চমকপ্রদ বিবরণ। গ্রন্থটি তাই হতে পারে প্রতিটি মুসলমান ও প্রতিটি মানবসন্তানের অধ্যয়ন-তালিকায় অমূল্য সংযোজন। গ্রন্থটি ২০০৯ সালে মিশরের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘মুবারক অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সে দেশের ভাষায় অনূদিত ‘শ্রেষ্ঠ বই’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। ড. রাগিব সারজানির এ গ্রন্থটি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার পাশাপাশি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইন্দোনেশীয়, মান্দারিন ও রুশ ভাষায় অনূদিত ও বেশ সমাদৃত হয়েছে।
Dr. Rageb Sarjani জন্ম: ১৯৬৪ঈ. আল মুহাল্লা কুবরা, মিশর। ড. রাগেব সারজানী মিশরের বিশিষ্ট ইসলামপ্রচারক, ইতিহাসবিদ ও একজন আধুনিক আরবলেখক। পেশায় মূলত তিনি একজন ডাক্তার। তবে ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি ইসলামী ইতিহাসের গভীর গবেষণা বর্তমান পৃথিবীতে তাকে একজন বিশিষ্ট ইসলামী ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচিত করেছে। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর পবিত্র কুরআনুল করীম হিফজ করেন। ইসলামের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা, ইসলামের ইতিহাসের প্রতি দরদ ও শ্রদ্ধা-তার চোখের তারায় যে আগামীর স্বপ্ন আঁকে-সেই স্বপ্ন বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতেই তার লেখালেখি। এই স্বপ্ন ছবি হয়ে উড়ে বেড়ায় তার রচনার ছত্ৰে ছত্ৰে | শিক্ষা তিনি ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদ থেকে ইউরোসার্জারি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র কুরআনুল করীম হিফজ করেন। কর্মক্ষেত্র অধ্যাপক : মেডিসিন অনুষদ, কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়,সদস্য : ইন্টারন্যাশনাল মুসলিম উলামা পরিষদ,সদস্য : মানবাধিকার শরীয়া বোর্ড, মিশর,সদস্য : আমেরিকান ট্রাস্ট সোসাইটি ,প্রধান : ইতিহাস বিভাগ, ইদারাতুল মারকাযিল হাজারা, মিশর রচনাবলি ইতিহাস ও ইসলামী গবেষণা বিষয়ে এ পর্যন্ত তার ৫৬টি মূল্যবান গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য— কিসসাতুত তাতার (তাতারীদের ইতিহাস),কিসসাতু উন্দুলুস (স্পেনের ইতিহাস),কিসসাতু তিউনুস (তিউনেসিয়ার ইতিহাস) আর রহমা ফি হায়াতির রসূল মা'আন নাবনী খায়রা উন্মাতিন প্রভৃতি।
ইসলামের প্রকৃত-পূর্ণাঙ্গ রুপ ও ইসলামি সভ্যতাকে জানতে হলে এই একটা বই-ই যথেষ্ট।
🔰বইটির প্রথম খন্ড শুরু হয়েছে ইসলাম পূর্ব বিশ্বে সমৃদ্ধ অন্যান্য সভ্যতার অর্জিত মূল্যবোধ ও সমৃদ্ধতার বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা নিয়ে। প্রাচীন সকল সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি ও সহাবস্থান ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রাচীন সভ্যতাগুলোর তুলনায় ইসলামি সভ্যতা কতটা যুক্তিযুক্ত, গ্রহনযোগ্য, সার্বজনীন ও দীর্ঘস্থায়ী তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে।
ইসলামের বিকাশলগ্নে অন্যান্য সভ্যতা কি অবস্থায় ছিল তার সামগ্রিক চিত্রও আলোচিত হয়েছে।
ইসলামি সভ্যতার মূলনীতি ও ভিত্তি, ইসলামে জাতি-গোষ্ঠীর ধারনা, অন্যান্যদের প্রতি উদারপন্থা নীতি, ইসলামি সভ্যতার অনন্য বৈশিষ্ট, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবদান, ইসলামি সভ্যতায় স্বাধীনতার ধারনা, সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি পরিবার-সমাজের কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতিমালা কেমন হবে তার বিস্তর একনিষ্ঠ তথ্যবহুল আলোচনার মাধ্যমে বইটা এগিয়ে চলেছে।
এরপর ইসলাম ধর্মে জ্ঞানের পরিপূরক অবস্থান, সকলের জন্য বাধ্যতামূলক জ্ঞান অর্জন, পরিক্ষামূলক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের দিকে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অগ্রযাত্রা, সর্বপরী জ্ঞান ও জ্ঞানীর আমানতের ক্ষেত্রে মুসলিম শাসকদের বন্ধত্বপূর্ণ অবস্থান আলোচনায় স্থান পেয়েছে।
🔰দ্বিতীয় খন্ড শুরু হয়েছে আরও চমৎকারিত্বের সাথে।
প্রথমেই বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থার সদৃশ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাব্যাবস্থার অনুরুপ মুসলিম সভ্যতায় শিক্ষাব্যাবস্থা কতটা সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী ছিল তার রেফারেন্সমূলক আলোচনা হয়েছে। তখন মুসলিম বিশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানের আধুনিক সভ্যতার তুলনায় নেহায়েত কম ছিল না। সেই সময়ে একেকটা লাইব্রেরী এতটা বড় ছিল যে, একই লাইব্রেরীতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পৃথক পৃথক স্থানে বিষয়ভিত্তৃক জ্ঞান অর্জন করলেও স্থানের সংকুলানের জন্য কোনো চিন্তা করতে হতো না।
জ্ঞানের সামগ্রিক বিস্তারের জন্য তৎকালিন সময়ে বিভিন্ন বিষয়মূলক গ্রন্থাগারের সমৃদ্ধতা ও ক্রমবিকশিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোগিতা আপনাকে অবাক করে দেবে। মুসলিম সমাজে জ্ঞানী-গুনির বিকাশ ও জ্ঞানীদের কপিরাইটের ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক ব্যাবস্থাপনা বর্তমান লাইব্রেরী ব্যাবস্থাপনাকেও হার মানায়।
বিজ্ঞানের প্রচলিত শাখা অর্থাৎ পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, জ্যামিতি, ভূগোল ও জোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে মুসলিম মনিষীরদের অবদান দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। নিছক আবেগের বশে নয় বরং একনিষ্ঠ রেফারেন্সের ভিত্তিতেই এসব তথ্য দেয়া হয়েছে। রসায়নশাস্ত্র, ওষুধবিজ্ঞান, ভৃতত্ববিদ্যা, বীজগণিত ও যন্ত্রপ্রকৌশল যে মুসলিম বিজ্ঞানীদের একান্তই নিজস্ব উদ্ভাবন সেটা আপনি না মেনে নিয়ে পারবেন না।
ইউনিক সভ্যতার বিকাশ ও স্থায়িত্বে আকিদা বিশ্বাসের অবদান অনেক। তাই পৃর্ববর্তী জাতি-গোষ্ঠীর আকিদা, তাওহীদের সংশোধনের ক্ষেত্রে মুসলিম সভ্যতার মুখাপেক্ষীতা কেউ এড়াতে পারে নি। বিদ্যমান বিজ্ঞানের উৎকর্ষে দর্শন, ইতিহাস ও সাহিত্যর সকল শাখা মুসলিমদের থেকেই এসেছে।
সমাজবিজ্ঞান, শরিয়া সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ও ভাষা সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের দিক দিয়ে মুসলিমরা সবসময় অনন্য।
🔰তৃতীয় খন্ডজুড়ে স্থান পেয়েছে ইসলামি সভ্যতার বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের গঠনপ্রণালী, যুগোপযোগীতা ও অবকাঠামোগত সমৃদ্ধতা।
ইসলামি শরিয়া মোতাবেক খিলাফত ও নেতৃত্ব, শাসনব্যবস্থার সাথে জনগনের প্রত্যাক্ষ সম্পৃক্ততা, পরবর্তী খলিফা নির্বাচনের বুদ্ধিদৃপ্ত পদ্ধতি এবং পরামর্শসভার বাস্তবিক প্রয়োগ ছিল সভ্যতাভিত্তিক উৎকর্ষতা। ইসলামি সভ্যতার বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, মন্ত্রনালয় ব্যাবস্থাপনায় মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান সত্যই প্রসংশনীয়।
বিস্তৃত দেশ শাসনের সুবিধার্তে পত্র ও রচনা বিভাগ, ডাক-যোগাযোগ বিভাগ, ভাতা ও সৈনিক বিভাগ, অর্থ-তহবিল, পুলিশ প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের প্রচলন একান্তই মুসলিমদের অবদান।
সভ্যতা বিনির্মাণে ন্যায় বিচার, বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠা, বিচারকদের দ্বায়িত্ব, শাকদের বিচারের অধিনে আনয়ন, বিচার ট্রাইবুনাল গঠন, অপরাধ ও দূর্নীতি দমন বিভাগ গঠন এককথায় ন্যায়মূলক বিচারবিভাগ পরিচালনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড মুসলিমদের শাসন আমলেই গড়ে উঠেছে।
সাস্থ্যসেবা, বর্তমান সদৃশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বতন্ত্র চিকিৎসা বিভাগ, অসুস্থের সেবা ও মানবিক সহানুভূতির মাধ্যমে সেবা দেয়ার যে বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাবস্থার প্রচলন মুসলিম সভ্যতা করেছে তা ইতিপূর্ব কোনো সভ্যতায় দেখা মেলেনি।
জনগনের যাতায়াত ও ভ্রমন নির্বিঘ্ন করতে পান্থনিবাস ও সরাইখানার প্রচলন মুসলিমরাই সবার আগে শুরু করেছিল। তখনকার সরাইখানার সংখ্যা বর্তমান সরকারি-বেসরকারি হোটেলের চেয়েও কয়েকগুন বেশি ছিল।
🔰চতুর্থ খন্ডে স্থান পেয়েছে সম্পূর্ণ পৃথক কিছু নিদর্শন, নান্দনিকতা ও সভ্যতাভিত্তিক অবকাঠামো।
সৌন্দয্য কখনো চর্চা করা যায় এমনটা কোনো সভ্যতা ভাবতেই পারে নি। একমাত্র ইসলামি সভ্যতা সৌন্দর্য চর্চাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। স্থাপত্যকলা, অলংকার শিল্প ও আরবী লিপিকলার কদর মুসলিম সভ্যতাতে ব্যাপক আকার ধারণ করে।
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারসমুহের সৌন্দর্য, সৌন্দর্য চর্চায় সৃজনশীলতা, নান্দনিক বাগানের ব্যাপক বিস্তার, ঝর্না ও ফোয়ারার কৌশলী স্থাপনা তৈরীতে মুসলিমরা সকল সভ্যতার অগ্রগামী।
মানুষের শরীর, পোশাক-পরিচ্ছেদ, নান্দনিক ঘর-বাড়ি, গঠনশীল রাস্তাঘাট, সুন্দর রুচিবোধ, সুন্দর বাচনভঙ্গি, উত্তম চরিত্র ও অনুপম রুচিবোধের গুরুত্ব একমাত্র ইসলামি সভ্যতা দিয়েছে। এমন কি সুন্দর নাম ও উপাধির সৌন্দর্য মুসলিমরাই বিশ্ববাসিকে শিখিয়েছে।
একটি নান্দনিক ইসলামি শহরের নমুনা 'কর্ডোভা' বর্তমান আধুনিক বিশ্বের সব উচ্চভিলাসি শহরের চেয়েও কোনো অংশে কম ছিল না।
ইউরোপীয় সভ্যতায় মুসলিম সভ্যতার ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। বিশ্বাস, আইন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ভাষা-সাহিত্য, শিষ্টাচার-আচরণ ও শিল্পকলায় ইসলামি সভ্যতা সবসময় ইউরোপকে প্রভাবিত করেছে।
ইসলামি সভ্যতাকে অনেক পশ্চিমা সুবিবেচক ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, নীতি-নৈতিকতা ও চিন্তা-চেতনার ক্ষেত্রে বর্তমান সভ্যতাগুলো অনেকাংশে ইসলামি সভ্যতার কাছে ঋৃনী। পশ্চিমা সুবিবেচকরা সবসময় ইসলামি সভ্যতার কদর করে, ইসলামকে একটা সমৃদ্ধশীল সভ্যতা বলে স্বীকার করে।
[উক্ত বইগুলোতে আলোচিত সকল তথ্যগুলোকে বাস্তবের প্রেক্ষিতে নিরিক্ষণ ও যাচাই করতে সকল পৃষ্ঠার নিচে পৃথক রেফারেন্স সংযুক্ত আছে ]
এককথায় আপনি যদি ইসলামের পূর্নাঙ্গ-প্রকৃত রুপ জানতে চান এবং ইসলামি সভ্যতাকে অনান্য সভ্যতার তুলনায় বিচার করতে চান তবে এই বইগুলো পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
বইগুলোর কন্টেন্ট এতটাই সমৃদ্ধ যে কখনই বুক রিভিউয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়।
বই: মুসলিমজাতি বিশ্বকে কি দিয়েছে (১-৪খন্ড) লেখক: ড. রাগিব সারজানি পৃষ্ঠা: মোট ১৩৮০ প্রকাশনী: মাকতাবাতুল হাসান
Read More
Was this review helpful to you?
By Abrar Faiaz,
07 Jul 2021
Verified Purchase
বর্তমানে সেকুলার রা প্রায়ই বলে বিশ্বে মুসলিমরা কি অবদান রাখছে? তারা কি আবিস্কার করছে? আমাদের পাঠ্যবইগুলোতে খুব পরিকল্পিত ভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান লুকিয়ে রাখা হয়েছে যাতে একজন মুসলিম কখনোই তাঁর শিকড়ের সাথে সংযুক্ত হতে না পারে। তাই আমি বলব এই দিক দিয়ে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য মুসলিম জাতি বিশ্বকে কি দিয়েছে তা পড়া ফরজ। এটা একদিক দিয়ে যেমন আপনার ঈমান বৃদ্ধি করবে, অন্যদিক দিয়ে নিজের শিকড়ের সাথে আপনাকে সংযুক্ত করবে পাশাপাশি সেকুলার দের প্রশ্নের উত্তরে এবং দাওয়াতি কাজে আপনাকে অভাবনীয় সাহায্য করবে। মুসলিমজাতি বিশ্বকে কি দিয়েছে রাগিব সারজানির এক অন্যবদ্য গ্রন্থ যাতে ইসলামের সোনালি যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গনিত শাস্ত্র তে মুসলিমদের কি কি অবদান রয়েছে তা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। এখানে গল্পের ছলে রাগিব সারসানি অত্যন্ত জীবন্ত উপস্থাপনার জাদুতে আপনাকে হারিয়ে নিয়ে যাবে মুসলিমদের সোনালী ঐতিজ্যের মধ্যে। আপনার মনের অজান্তেই গর্বের সাথে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ আমি একজন মুসলিম।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Mazharul Islam,
19 Mar 2021
Verified Purchase
বইটা যে বিষয় নিয়ে লিখা তা বর্তমান সময়ের অত্যন্ত দরকারি বিষয়। মুসলিমদের বর্তমানে বেহাল দশা। সবচেয়ে ফেতনাময় এবং দূর্দিনের সময় অতিবাহিত করছে মুসলিম জাতি। বর্তমানের সভ্যতা গুলো নানান কর্মকাণ্ড আর প্রোপাগান্ডার মাঝে পরে, আমরা মুসলিম জাতি নিজেদেরকেই ভুলে গেছি। আমরা ভুলে গেছি আমাদের অর্জন, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। এই বইটা আমাদের মনে করিয়ে দিবে পশ্চিমা কিংবা আমেরিকান সভ্যতার এমন চোখ ধাঁধানো আলোক দেখে নিজেদের হীনমন্যতায় ভোগার কিছুই নেই। আমাদের অর্জনের কাছে এই সভ্যতা গুলো তুচ্চ। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আবার ভাবার সুযোগ করে দিবে এই বই। . বিশ্বে মুসলিম জাতির আগমন অবহেলিত বা শোষিত জাতি হয়ে থাকবে বলে হয় নি, হয়েছে আল্লাহ তা’য়ালার দ্বীনকে সমুন্নত করে পুরো বিশ্বকে শাসন করার জন্য। ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই আবার ইসলামী সভ্যতার স্বাদ পাবে এই বিশ্ব।
Read More
Was this review helpful to you?
By AMINUL ISLAM,
29 Dec 2021
Verified Purchase
মুসলিম জাতি বিশ্বকে কি দিয়েছ বইটি ছিলো অসাধারণ। আধুনিক চিন্তাভাবাপন্ন অনেকে প্রশ্ন করে পৃথিবীতে মুসলিমদের কি অবদান আছে।বইটিতে ড.রাগিব সারজানি হাফিজাহুল্লাহ তার সঠিক উত্তর দিয়ে তাদের মুখে কুলুপ এটে দিয়েছেন। এরকম একটি বই প্রকাশকরা সময়ের দাবি ছিল ধন্যবাদ মাকতাবাতুল হাসানকে এমন একটি বই প্রকাশ করার জন্য।রকমারির জন্য ভালোবাসা রইল সততার সাথে পৌছে দেওয়ার জন্য।
Read More
Was this review helpful to you?
By Yeasin Arafat,
25 Jan 2022
Verified Purchase
ইতিহাসবেত্তা ডা. রাগিব সারজানিকেও এই বইটা দিয়ে প্রথম চেনা। এত সুন্দর এবং সুগভীর চিন্তাভাবনা থেকে লেখক ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। অন্যদিকে অনুবাদকও মাশাআল্লাহ। অনুবাদক তার নিজের সৃজনশীলতাকেও সর্বোচ্চ থেকে ঢেলে সাজিয়ে কথাগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ এই বইটার পেছনে শ্রম দেওয়া সবাইকে উত্তম জাযা দান করুক।
Read More
Was this review helpful to you?
By Arif Shahriar,
15 Feb 2022
Verified Purchase
আমাদের পূর্ববর্তী মুসলিমদের গৌরবময় ইতিহাস আমাদের সবারই জানা উচিত। আমাদের পূর্ববর্তীদের ইতিহাস আমাদের মধ্যে নতুন প্রেরণা যোগাবে। অনেক সময় অমুসলিমরা আমাদের মুসলিমদের হেনস্তা করে থাকে, তাদের প্রশ্ন গুলোর প্রেক্ষিতে সঠিক জবাব দিতে এবং নিজেদের মধ্যেও সঠিক জ্ঞান রাখতে বইটি পড়া উচিত।
Read More
Was this review helpful to you?
By Faysal Rabby,
10 Feb 2021
Verified Purchase
কি আর বলব, এককথায় দুর্দান্ত। বইগুলো আজই হাতে পেলাম, কয়েক পাতা পড়েছি মাত্র। তবে বইগুলো হাতে হাতে নিয়ে কলিজা জুড়িয়ে গেছে। এর মলাট, আর কাগজের কোয়ালিটি দেখে। আমি নিশ্চিত প্রকাশনির লস ছাড়া লাভ হবে না এই বইয়ে। তবে ইসলাম প্রচারে তাদের অবদান স্বরণীয় হয়ে থাকবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By sazzad hossen,
07 Jan 2022
Verified Purchase
This book is full of knowledge. Writer Dr. Ragib Sarjani is a great writer. He writes this book in such a way that everyone can understand and get knowledge. This book is very helpful for those who want to know about Muslim achievement.
Read More
Was this review helpful to you?
By Mosatfizur,
02 Jun 2021
Verified Purchase
First vhabsilam je muslim ra ki abiskar korse tar upor boi!! kintu za bujlam i was wrong..ki vhabe akta valo manus hao a theke zudder allah niyom..Amra muslim ki diyechi tar bohiprokash.. One of best book i have ever read about islamic.
Read More
Was this review helpful to you?
By Sultan Mahmud,
25 Jun 2021
Verified Purchase
দারুণ একটি বই। মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বিশ্ব পরিচালনায় মুসলমানদের নেতৃত্ব ও কৃতিত্ব সেই সাথে মানবতার জন্য মুসলমানদের অবদান এই বইটি পাঠের মাধ্যমে পাঠকের মনের পাঠ ক্ষুধা নিবারণ করতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ।
Read More
Was this review helpful to you?
By kaushik khan,
20 Dec 2021
Verified Purchase
খুব সুন্দর তথ্যবহুল ৪ খণ্ডের একটি বই,যেখানে মুসলিম মনীষীদের বিজ্ঞানের জন্য অবদান সম্পর্কে খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানের মুসলিমদের যে বেহাল দশায় এই বই তাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে নতুন ভাবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Moktarul Islam Bappy,
12 Apr 2021
Verified Purchase
আমি মনে করি যারা আমরা নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দি! তাদের প্রত্যেকের কাছে "মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে" এর সিরিজ গুলো থাকা আবশ্যক।
Read More
Was this review helpful to you?
By Firoz Rahman,
30 Jul 2021
Verified Purchase
বইটি না পড়লে মুসলমান হয়েও মুসলিম জাতিকে অজানা থেকে যেত।তাই বইটি প্রত্যেক মুসলমান অথবা অমুসলিমকে বইটি পড়া উচিত।😍
Read More
Was this review helpful to you?
By Dr Shakhawat Hossain,
22 Nov 2021
Verified Purchase
মাশাআল্লাহ,,রকমারি র সার্ভিস ভালো ছিল,বইগুলোতে কোন ত্রুটি পাই নি,সাথে বুকমার্ক দেওয়া ছিল,যেটা খুবই উপকারে আসছে
Read More
Was this review helpful to you?
By Robiul Hasan,
09 Sep 2021
Verified Purchase
আলহামদুলিল্লাহ, বিশ্বে মুসলমানদের অবদান এত বেশি তা এই বইটি না পড়লে হয়তো বুঝতেই পারতাম না। ধন্যবাদ রকমারি❤️
প্রতিটি খন্ড আলাদাভাবে কি নেয়া যাবে??Questioned by Nazmus Saifon 22 Jun, 2024
A:
প্রিয় গ্রাহক, দুঃখিত, প্রতিটি খন্ড আলাদাভাবে নেয়া যাবেনা। ধন্যবাদ।Answered by Rafid Ahmedon 22 Jun, 2024
Q:
মোট কত পৃষ্ঠা?Questioned by 880****652on 02 Jun, 2024
A:
প্রিয় গ্রাহক, বইটির মোট ১৩৯২ পৃষ্ঠা, ধন্যবাদ।
Answered by SG Shamim Ahmedon 02 Jun, 2024
Q:
বইটি কিনবো নাকি কিনবো না বিষয়টা নিয়ে একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি। যদি একটু বলতেন বইটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে।?Questioned by Abir Hossenon 29 Mar, 2021
A:
সংগ্রহে রাখার মত বেশ চমৎকার একটি বই, নিঃসন্দেহে কিনতে পারেন। Answered by Md. Mahmud Alamon 29 Mar, 2021