বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে শেখ মুজিবের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক কালজয়ী মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে যাঁরা নিজ নিজ কর্ম ও কীর্তির জন্য ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। বাংলা ও বাঙালির অন্যান্য কীর্তিমান মহাপুরুষ ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাঙালিদের জন্য একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেঁচে ছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সপরিবারে ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। বিদেশে অবস্থান করায় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের মে মাসে শেখ হাসিনা অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন যখন তাঁর পিতার নিজ হাতে গড়া দলটি অনেকটা ছত্রভঙ্গ। ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ গ্রহণ এবং একসঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না তিনি দেশ ও জনগণের জন্য কী অক্লান্ত পরিশ্রম করতে পারেন। পিতা বাঙালিকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন আর কন্যা সেই দেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। দুজনের কীর্তিই অবিস্মরণীয়। পিতা ও কন্যা আমাদের সময়ের রাষ্ট্রনায়ক। এটি একটি বিরল ঘটনা। পিতা ও কন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আমার বেশ কিছু কলাম প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে সেই প্রকাশিত লেখাগুলোর বাছাই করা কিছু লেখা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।