লেডি ভেইন জাহাজডুবি সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি আর নতুন করে আলোকপাত করতে চাইছি না। সবাই জানেন, ক্যালাও থেকে রওনা হবার দশ দিন পরে একটা পরিত্যক্ত জাহাজের সঙ্গে লেডি ভেইনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। এই ঘটনার ১৮ দিন পরে কামানবাহী জাহাজ এইচ এম মার্টাল ওই জীবনতরি থেকে সাতজন নাবিককে উদ্ধার করে। তাদের কাহিনি এখন মেডুয়া কাহিনির মতোই। ভেইন সম্পর্কে অন্য একটা কথা বলতে চলেছি। আমার এই গল্পের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা আছে। এমন কিছু কথা আছে, যা ভয়ংকর। এ যাবৎ ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, লেডি ভেইনের ছোট ডিঙিতে যে চারজন আশ্রয় নিয়েছিল তাদের সকলেই ডুবে গেছে। কিন্তু এই ধারণাটা সঠিক নয়। আমি কিন্তু ওই ডিঙিতেই ছিলাম। প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, এই ব্যাপারে মস্ত বড় একটা ভুল হচ্ছে। ডিঙিতে চারজন লোক ছিল না, ছিল তিনজন। কনস্ট্যান্স নামে যে মানুষটিকে জাহাজের ক্যাপ্টেন ডিঙিটার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছিলেন, আমাদের সৌভাগ্য এবং তার দুর্ভাগ্য, শেষ পর্যন্ত সে ডিঙিতে এসে পৌঁছাতে পারেনি। অথচ ডেইলি নিউজ পত্রিকা ১৭ মার্চ ১৮৮৭ সালে এই কথা বলেছে। ঝাঁপিয়ে পড়ার পর দড়িতে পা জড়িয়ে সে এক মূহূর্তে একটু দূরে চলে যায়। জলে ভাসমান কাঠের টুকরোতে আছড়ে পড়ে। আমরা ডিঙি চালিয়ে তার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু সে আর ভেসে ওঠেনি। তার মানে হতভাগ্য মানুষটির মৃত্যু হয়েছে সমুদ্রের জলে।