আল আয়াতুল কুবরা বা জগৎ-স্রষ্টা আল্লাহর আ নিদর্শন নামক এই গ্রন্থে সামগ্রিক বুদ্ধিবৃত্তিক আত্মিক ভ্রমণ- পরিভ্রমণের মধ্য দিয়ে লেখক আ " মহান সত্তার অতুলনীয় তাজাল্লী ও দীপ্তি এ এ উপস্থাপন করেছেন। সবাই যেন সৃষ্টিজগতের রহস্য জীবনের সুক্ষ সুক্ষ বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে অবগতি লাভ করতে পারে এবং অস্তিত্বের সৌন্দর্য, এর চমৎকার বিন্যাস এবং বিস্ময়কর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপভোগ করতে পারে। সাঈদ নুরসী তার এই পুস্তিকার মূল প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট, জোড়ালো ও যৌক্তিক ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন। পরিণামহীন বস্তুবাদীদের চিন্তাধারার প্রতিটি ভ্রান্তি সবিস্তার বর্ণনা করেছেন। তাদের বিবেক-বুদ্ধিকে অকার্যকর ও অসার সাব্যস্ত। করেছেন। তিনি খুব ধীর-শান্তভাবে সত্যান্বেষীর হাত ধরে অগ্রসর হয়েছেন, যেন সত্যান্বেষীর জন্য আকল তথা বিবেক-বুদ্ধি এবং অন্তরের দরজা খুলে দিতে পারেন এবং তাকে যেন উপস্থিত করতে পারেন। অস্তিতের সামনে, মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের সামনে এবং এর অভিনব দৃশ্যপটের সামনে। উধ্বজগতের সফর। থেকে শুরু করে অধোঃজগতের বিস্ময়কর সৃষ্টি পর্যন্ত । আরো গভীরে অনুপ্রবেশ করে। এই জগতসমূহের বিন্যাস ও সমন্বয় এবং শৈল্পিক সৌন্দর্যকে তিনি অত্যন্ত সাবলীল ও চিত্তাকর্ষক পন্থায় বর্ণনা করে যা প্রথমে মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। তারপর অন্তরে সাড়া জাগায়। অতঃপর উদাসীনকে জাগ্রত করে এবং অনোযোগীর মেধাকে আরো শাণিত কলে এবং জ্ঞানহীনের হাত ধরে নিয়ে যায় জ্ঞান ও বাস্তবতার পরিচিত জগতে। যা অকাটোত ও মহান সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ছো মহিমা ও প্রশংসা বর্ণনা করে সাত আসত যমীন এবং এর মধ্যকার সবকিছু।। তে। যা অকাট্যভাবে সর্বস্রষ্টা কর্তার অস্তিত্বের ঘোষণা দেয়। যার মহিমা ও প্রশংসা বর্ণনা করে সাত আসমান ও সাত আসমান ও সাত যমীন এবং মধ্যকার সবকিছু।
সাইদ নুরসি (১৮৭৬ – ১৯৬০), বদিউজ্জামান নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। তিনি রিসালায়ে নূর নামক কুরআনের ব্যাখ্যা রচনা করেন। এটির আকার ছয় হাজার পৃষ্ঠার অধিক। আধুনিক বিজ্ঞান ও যুক্তিকে ভবিষ্যতের পথ বিবেচনা করে তিনি সাধারণ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় জ্ঞান ও ধর্মীয় বিদ্যালয়ে আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাদানের পক্ষপাতী ছিলেন।নুরসি একটি বিশ্বাসভিত্তিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এই আন্দোলন তুরস্কে ইসলামের পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এর ব্যাপক অনুসারী রয়েছে। তার অনুসারীদের প্রায় "নুরজু" বা "নুর জামাত" নামে অবিহিত করা হয় এবং তাকে শ্রদ্ধা করে উস্তাদ ডাকা হয়।অনুরক্ত তুর্কি যুবসমাজ তাকে বদিউজ্জামান বা যুগের বিশ্বয় (Wonder of the age) নামে অভিহিত করে।