সুন্দরবন থেকে দুবাই। চেন্নাই থেকে নিউইয়র্ক। কাঠমান্ডু থেকে ব্রিসবেন। বেইজিং থেকে ইস্তাম্বুল। কখনো প্রাচ্যে। কখনো মধ্যপ্রাচ্যে। কখনো পাশ্চাত্যে। আবার প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থলে। দঁড়িয়ে যান পর্যটক। ক্ষণিকের জন্য। মনে তার অনন্ত ক্ষুধা। দৃষ্টি ছুটে যায় দিক দিগন্তে। চোখে তার প্রবল আকুতি: এ মানবজীবন তো এতোটুকুই, তবু দেখে যেতে সাধ স্রষ্টার সৃজন জগতের অপার সৌন্দর্য। প্রকৃতি নিঃসর্গের বাঙ্ময় চমৎকারিত্ব। এমন তীব্র আকাঙ্খাই মাহমুদা রহমানকে করে তোলে পর্যটক। এর সাথে যোগ হয় দেশে-বিদেশের ব্যবসা। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দেশ থেকে দেশে ছুটে চলা। শুধু গৃহে আটকে না থেকে ব্যবসায়ী শিল্পপতি স্বামীর সাথে নেমে এসেছেন পৃথিবীর পথে। ঘুরে বেড়িয়েছেন পাহাড়ে পর্বতে প্রান্তরে নগরে বন্দরে। এভাবেই পৃথিবীর বিশাল ভূভাগ পরিভ্রমণ করেছেন তিনি। সেখান থেকেই কিছু অভিজ্ঞতা তুলে এনে সাজানো হয়েছে এই বই। একই সাথে তুলে ধরেছেন সেসব এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য প্রকৃতি সংস্কৃতি। এ গ্রন্থে আলোকিত হয়েছে সভ্যতার আলোয় লালচীন, ওয়েস্টার্ন হিরো ও স্ট্যাচু অব লিবার্টির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জেলেপল্লী থেকে ধনকুবের হিসেব গড়ে ওঠা দুবাই, হিমগিরি হিমালয়ের নেপাল, শিক্ষা ও সভ্যতায় গড়ে ওঠা ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়া, বাড়ির কাছেই পড়শি ভারত, দুই মহাদেশের সংস্কৃতির ধারক তুরস্ক, আর দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া আপন দেশের সুন্দরবন। মাহমুদা রহমানের ' পৃথিবীর পথে নগরে বন্দরে' পাঠ করতে করতে পাঠক নিজেরাই হয়ে ওঠেন পরিব্রাজক।