ও তেইশ নামে যমজ কন্যাশিশুরা ২০২০-কে তাদের স্মৃতিতে কি বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম? মাত্র আড়াই বছরের দুই মানবশিশু, স্মৃতি তাদের কতটুকুই-বা পোক্ত? ১৯৭০-এ জন্মানো বর্তমানের ৫০ ছুঁইছুঁই ব্যক্তিটি সমাজের একজন সংবেদনশীল মানুষ; সমকালীন প্রতিটি ঘটনাকে বোঝার এবং ব্যাখ্যা করার তার নিজস্ব এক মানস রয়েছে নিশ্চিত। প্রখর সংবেদনশীল এই ব্যক্তিটির কাছেই যদি ১৯৭১-এর গল্প শুনতে চাই, কিছু কি বলা সম্ভব তার পক্ষে আদৌ? তো এমন পরিমিত ও পরিশীলিত মননের একজন মানুষ যেখানে ১৯৭১-এর গল্প বলতে বিফল, উনিশ-তেইশদের দোষ কী? কিন্তু যেহেতু ২০২০-এর পৃথিবীতে ওরা অবস্থান করেছে, স্রেফ বয়সের অজুহাতে ওরা কি দায় এড়াতে পারে? এক্সকিউজ মি, জনাব Q, করোনা বিষয়ে আপনার চিন্তাপ্রণালি একেবারেই মানতে পারলাম না। হতে পারে আপনি একজন প্রসিদ্ধ বিদ্বান, তবু আপনার ভাবনাকে শামুকবদ্ধ বলতে একটুও দ্বিধা করছি না। জি জনাব V, আপনার করোনা-চিন্তা শুনে সমাজের প্রিভিলেইজড গোষ্ঠী আপনাকে মূর্খ ভেবে পরিত্যাগ করতেই পারে, তবে যতটুকু যা উপলব্ধি করলাম, আপনার চিন্তা স্বাদ, বর্ণ ও সুবাসযুক্ত। এই চিন্তার যত্ন নিন; বিদগ্ধদের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ না হয়ে চলুন আদা-লং মিশিয়ে কড়া দুই কাপ চা খাই। কই গো উনিশ-তেইশ; বাবা আর আংকেলের জন্য দুই কাপ চা নিয়ে এসে এখানে চুপচাপ বসে থাকো। শোনো কী বলছি!
প্রথমত আমি একজন মানুষ। তাই সবার মত আমারও একটি জন্মস্থান-জন্মকাল ছিল। তবে তা প্ৰকাশ-অপ্ৰকাশে গল্পের প্রাসঙ্গিকতায় কোনই গুরুত্ব তৈরি হয় না। ঠিক যেমনটা হবে না। আমার শিক্ষাগত কিংবা পেশাগত পরিচয়ে। অক্ষরজ্ঞান নেয়া ও কিছু কাগুজে সনদ সংগ্রহের প্রয়োজনে যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে আমাকে পড়াশোনা তাগিদেও কোথাও নিযুক্ত আছি, এটাই মৌলিক সত্য। মানুষের পেশাগত কিংবা সামাজিক আইডেন্টিটি তত্ত্বে কখনোই আস্থা পাইনা। নিজেকে তাই "ফ্রি সোল’ বা ‘মুক্ত আত্মা’ পরিচয় দিতেই পরম স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য আমার। তবে গল্প নিয়ে যে কোন কট্টর সমালোচনাকে ক্লেদাক্ত প্ৰশংসার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়ন করি। সুতরাং সমালোচনার উদ্দেশ্যে চেনা-অচেনা যে কারো সঙ্গে আন্তর্জালিক যোগাযোগ হতে পারে। সার্বক্ষণিক শর্তেই।